
নয়া দিল্লি: বড় ধাক্কা দিয়েছে দেশের সবথেকে বড় তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা টিসিএস। টাটা কনসাল্টেন্সি সার্ভিসের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, তারা ১২ হাজার কর্মী ছাঁটাই করতে চলেছে। কার চাকরি থাকবে, কার চাকরি নিয়ে টানাটানি পড়বে, তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগে কর্মীরা। এর মধ্যেই আরও একটি বড় ধাক্কা। এবার টিসিএস নতুন কর্মী নিয়োগও আপাতত বন্ধ করে দিল। পাশাপাশি বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি হওয়ার কথা ছিল, তাও আপাতত স্থগিত করে দেওয়া হল।
টাটা কনসাল্টেন্সি সার্ভিস সংস্থার সূত্রেই খবর, অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কর্মীদের নিয়োগ আপাতত বন্ধ রাখা হচ্ছে। ১২ হাজার কর্মীর ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্তের পর এবার এই সিদ্ধান্ত। গত অর্থবর্ষের কর্মীদের কাজের ভিত্তিতে যে বেতন বৃদ্ধি হওয়ার কথা ছিল, তাও আপাতত স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। কবে বেতন বৃদ্ধি করা হবে, সে সম্পর্কে কিছুই জানানো হয়নি সংস্থার তরফে।
সম্প্রতিই টিসিএস তাদের বেঞ্চিং পলিসিতেও কড়া নিয়ম এনেছে। বেঞ্চিং পিরিয়ড কমিয়ে ৩৫ দিন করে দেওয়া হয়েছে অর্থাৎ কোনও কর্মী প্রজেক্ট ছাড়া সর্বাধিক ৩৫ দিনই বসে থাকতে পারবেন। তার হাতে ৩৫ দিন সময় থাকবে নতুন প্রজেক্ট খোঁজার জন্য, নাহলে তাদের ইস্তফা দিতে হবে। বেতন বৃদ্ধি বা পদোন্নতিও আটকে যাবে কাজ না করলে। ইতিমধ্যেই হায়দরাবাদ, পুণে, চেন্নাই ও কলকাতায় টিসিএসের অফিসে এই নিয়ম কার্যকর হয়েছে এবং কর্মীদের ছাঁটাইয়ের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।
টিসিএসে মাঝারি ও সিনিয়র স্তরের কর্মীদের যে ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তাতে সংস্থার ৩০০ থেকে ৪০০ মিলিয়ন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ২৪০০-৩৬০০ কোটি টাকা) সাশ্রয় হবে বার্ষিক, এমনটাই অনুমান। টিসিএসের সিইও জানিয়েছেন, ধাপে ধাপে এই ছাঁটাইয়ের প্রক্রিয়া হবে।