GST-তে ছাড় পেতেই পড়ল গাড়ি কেনার হিড়িক, কোন গাড়ি সবথেকে পছন্দ জানেন?

New GST on Cars: জিএসটি কমার পর গাড়ির ক্রেতাদের উপরে সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, ৪৬ শতাংশ গ্রাহকই তাদের গাড়ি বদলে বড় গাড়ি কিনেছেন। অর্থাৎ জিএসটি কমার পর তাদের গাড়ির ক্রয় ক্ষমতা আরও বেড়েছে। সাধ্যের মধ্যে এসেছে দামি গাড়ি। মধ্যবিত্ত ক্রেতারাও বাজেটের মধ্যে থাকা ব্র্যান্ড ছেড়ে অত্যাধুনিক ফিচার্স যুক্ত গাড়ি কিনছেন। 

GST-তে ছাড় পেতেই পড়ল গাড়ি কেনার হিড়িক, কোন গাড়ি সবথেকে পছন্দ জানেন?
ফাইল চিত্র।Image Credit source: PTI

|

Oct 30, 2025 | 1:34 PM

নয়া দিল্লি: ভারতের গাড়ির বাজারে বিরাট বদল। জিএসটি-তে পরিবর্তনের পরই হুজুগ পড়েছে গাড়ি কেনার। শুধু গাড়ি কেনা নয়, শুরু হয়েছে গাড়ি আপগ্রেড করার। জিএসটি-তে কর ছাড়ের পরই ভারতীয়রা চাইছেন আরও বড়, আরও ভাল গাড়ি কেনার।

সম্প্রতি স্মিটেনপালস এআই স্টাডির সমীক্ষায় উঠে এসেছে যে চলতি বছরের অক্টোবর মাসে দেশের টায়ার-১, টায়ার-২ ও  টায়ার-৩  (Tier-1, 2 and 3 cities) শহরে গাড়ি কেনার হিড়িক পড়েছে। ৭৯ শতাংশ গাড়ি ক্রেতাই দামি গাড়ি কিনছেন বা অতিরিক্ত কিছু সংযোজন করছেন। জিএসটিতে ছাড় পাওয়া অর্থ সঞ্চয়ের বদলে তারা সেই টাকা দিয়ে আরও দামি গাড়ি বা নতুন গাড়িতে আধুনিক ফিচার্স যোগ করছেন। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ভারতের রাস্তায় এখনও এসইউভি-ই রাজত্ব করলেও, ইলেকট্রনিক গাড়ি বা ইভির বিক্রিও দ্রুত বাড়ছে।

জিএসটি কমার পর গাড়ির ক্রেতাদের উপরে সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, ৪৬ শতাংশ গ্রাহকই তাদের গাড়ি বদলে বড় গাড়ি কিনেছেন। অর্থাৎ জিএসটি কমার পর তাদের গাড়ির ক্রয় ক্ষমতা আরও বেড়েছে। সাধ্যের মধ্যে এসেছে দামি গাড়ি। মধ্যবিত্ত ক্রেতারাও বাজেটের মধ্যে থাকা ব্র্যান্ড ছেড়ে অত্যাধুনিক ফিচার্স যুক্ত গাড়ি কিনছেন।

৬০ শতাংশ গাড়ি ক্রেতা আবার আপগ্রেডের পরিকল্পনাও করেছেন। অন্য মডেল বা অন্য ভ্যারিয়েন্ট কেনার পরিকল্পনা করছেন। পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে এসইউভি, তারপরই রয়েছে সিডান ও হ্যাচব্যাক।

আবার অন্যদিকে, ইলেকট্রিক গাড়ির চাহিদাও বাড়ছে। ৪৬ শতাংশ গ্রাহকরা তাদের পরবর্তী গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে ইলেকট্রিক ভেহিকেল বা ইভি কেনার পরিকল্পনা করেছেন। ইভি বেছে নেওয়ার একাধিক কারণও রয়েছে। পরিবেশগত দিক যেমন রয়েছে, অর্থাৎ ইভি-তে দূষণ কম হয়, তেমনই ইভি কিনলে সরকারি ছাড়ও পাওয়া যায়। দামও অনেকটা সাধ্যের মধ্যে। তবে ব্যাটারির সমস্যা, চার্জিং পরিকাঠামো এখনও সম্পূর্ণ তৈরি না হওয়া একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে ভবিষ্যতে এই সমস্যা অনেকটাই দূর হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।