মুম্বই: বৃহস্পতিবার (১০ অগস্ট), সংসদে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের জবাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রায় ২ ঘণ্টা ১৩ মিনিটের দীর্ঘ ভাষণে বিরোধীদের তীব্র আক্রমণ করেছেন তিনি। বিরোধীদের পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে তিনি বিভিন্ন সরকারি সংস্থার উন্নতির কথা উল্লেখ করেন। স্টক মার্কেটে লগ্নিকারীদের তিনি সরকারি সংস্থাগুলিতে বিনিয়োগ করার পরামর্শ দেন। রসিকতা করে, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিরোধীরা যে জিনিসগুলির খারাপ চায়, তাদের শুধুই ভাল হয়। হ্যাল, এলআইসি এবং ভারতীয় ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার উদাহরণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিরোধীরা যে সরকারি সংস্থাগুলি ডুবে যাবে বলে দাবি করে, সেগুলিতেই লগ্নি করুন। ধনী হয়ে যাবেন।” সত্যিই কি, সরকারি সংস্থার শেয়ারে লগ্নি করে লভবান হচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা? আসুন দেখে নেওয়া যাক পরিসংখ্যান কী বলছে –
শুক্রবার বাজার খোলার পর প্রথম সেশনে ২৩২ পয়েন্টের পতন হয়েছে। কিন্তু, সরকারি সংস্থাগুলির শেয়ারের দর বাড়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছেভারত হেভি ইলেকট্রিক থেকে শুরু করে লাইফ ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশন বা দেশের সবচেয়ে বড় রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্ক এসবিআই – সবকটি সংস্থারই শেয়ারের দর বাড়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। সপ্তাহের শেষ ট্রেডিং দিনের প্রথম সেশনে এলআইসি-র শেয়ারের দর বেড়েছে ৩.১৬ শতাংশ। ফলে, এলআইসি-তে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আজ সকালে খুশির পরিবেশ লক্ষ্য করা গিয়েছে। ভারত হেভি ইলেকট্রিক বা বিইএল-এর শেয়ারের দর বেড়েছে ২.২০ শতাংশ। খুশির হাওয়া রয়েছে এসবিআই-এর বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও। শুক্রবারের প্রথম সেশনে এসবিআই-এর শেয়ারের দর বেড়েছে ০.৪৪ শতাংশ।
শুক্রবার প্রথম সেশনে আরও একটি সরকারি সংস্থার শেয়ারের দর ৫ শতাংশের বেশি বেড়েছে। সংস্থাটি হল এনবিসিসি। লোকসানের রাস্তা থেকে লাভে ফিরেছে এই সরকারি সংস্থা। গতকাল প্রধানমন্ত্রী মোদী জানিয়েছিলেন, প্রতিটি সরকারি সংস্থাই লোকসান কাটিয়ে লাভের রাস্তায় ফিরে আসছে। এনবিসিসি সংস্থার ফলাফলেও এই প্রবণতা স্পষ্ট। বৃহস্পতিবারের বক্তৃতায় প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা হ্যআলের কথাও উল্লেখ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আজ সকালের প্রথম সেশনে এই সরকারি সংস্থার শেয়ারের দর ১.২০ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। গত ৬ মাসে বিনিয়োগকারীদের ৫৫ শতাংশের বেশি রিটার্ন দিয়েছে এই সরকারি সংস্থা। এছাড়া, রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্ক, ব্যাঙ্ক অব বরোদা ও পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক শেয়ার, এবং পাওয়ার গ্রিডের শেয়ারের দরও বেড়েছে।