
জিও। ভারতে ইন্টারনেট বিপ্লবের জন্য হয়ত এই একটা নামই যথেষ্ট। ২০১৬ সালের আশেপাশে ভারতে একধাক্কায় কমে যায় ইন্টারনেটের দাম। আর বিশ্বের অন্যতম সস্তা ইন্টারনেট চলে আসে আমাদের দেশের মানুষের হাতে। মুকেশ অম্বানীর সংস্থা রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের অধীনস্থ এই সংস্থাই বলা যায় এক কথায় ইন্টারনেট বিপ্লব নিয়ে এসেছিল ভারতে। আর ইন্টারনেটের পর এবার মিউচুয়াল ফান্ড সব একাধিক দিকে নজর দিয়েছে তাঁরা।
২০২৩ সালের অগস্ট মাসে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের ডিমার্জার হয়। আর তাতেই আলাদা হয়ে যায় জিও ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড। সেই জিও ফিন সার্ভ এবার আমেরিকার সংস্থা ব্ল্যাকরকের সঙ্গে মিলে নিয়ে এসেছে জিও ব্ল্যাকরক মিউচুয়াল ফান্ডস নামের একটা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট সংস্থা। উল্লেখ্য, এই ব্ল্যাকরক আসলে আমেরিকার সবচেয়ে বড় অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি। তারা আমেরিকায় ১১.৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অ্যাসেট সামলায়। অর্থাৎ, বিশ্বের অন্যতম বড় সংস্থা এই ব্ল্যাকরক।
ইতিমধ্যেই মিউচুয়াল ফান্ড লঞ্চ করে দিয়েছে জিও ব্ল্যাকরক। ফ্লেক্সি ক্যাপ, লিক্যুইড ফান্ড, নিফটি স্মলক্যাপ ২৫০ ইনডেক্স ফান্ড, নিফটি ৫০ ইনডেক্স ফান্ড, নিফটি মিডক্যাপ ১৫০ ফান্ড সহ একাধিক মিউচুয়াল ফান্ড ইতিমধ্যেই লঞ্চ করেছে সংস্থাটি। এ ছাড়াও একাধিক নিউ ফান্ডস ওপেনিংও রেখেছে সংস্থাটি।
২০১৬ সালের পর জিও দেশের প্রতিটি ঘরে সস্তায় ইন্টারনেট পৌঁছে দিয়েছিল। অনেক বাড়িতে জিওর দৌলতে নতুন ফোন ঢুকেছিল। তারপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে। এবার সেই মুকেশ অম্বানীর জিওর দৌলতে দেশের প্রতিটি ঘরে মিউচুয়াল ফান্ড ঢুকে পড়ে কি না সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে দেশের বাজার বিশেষজ্ঞরা।