
১২ জুন, ভারতের বিমান পরিষেবার ইতিহাসে একটি কালো দিন। এই দিন আমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে ওড়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট ১৭১। মৃত্যু হয় ফ্লাইটে থাকা সমস্ত ক্রু ও যাত্রীদের। শুধু বেঁচে যান এক ব্যক্তি। ওই দিন সন্ধের দিকে টাটা গ্রুপ ঘোষণা করে এই দুর্ঘটনায় মৃত প্রত্যেক ব্যক্তির পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসাবে ১ কোটি টাকা করে দেবে তারা।
কিন্তু এখানে আইন কী বলছে?
অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক বলছে, ২০১৫ সালের ৯ জুলাই দিল্লি হাইকোর্টের দেওয়া একটি অর্ডার অনুযায়ী তারা ক্ষতিপূরণ দেয়। এবার আহত বা মৃতদের জন্য আলাদা আলাদা ক্ষতিপূরণের কথা বলা হয়েছে সেই রায়ে। অন্যদিকে বিমানে থাকা অন্যদেশের নাগরিকদের জন্য ১৯৯৯ সালের মন্ট্রিয়ল কনভেনশনকে ধরা হয়। যে কনভেনশনের হিসাব অনুযায়ী বিমান সংস্থাগুলো আহত ও নিহদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য।
মন্ট্রিয়ল কনভেনশন অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের মধ্যে ১ লক্ষ ২৮ হাজার ৮২১টি বিশেষ অধিকার নথিভুক্ত করা হয়েছে। এই অধিকারগুলো অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের অঙ্কটা ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
ক্ষতিপূরণ ছাড়াও বিমান যাত্রীরা তাদের ভ্রমণের সময় সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে ট্রাভেল ইন্সিওরেন্স করাতে পারে। সেক্ষেত্রে দুর্ঘটনা ঘটলে ওই যাত্রীর পরিবার এককালীন অর্থ পাবেন। তবে শুধুমাত্র মারা গেলেই এই বিমার কভারেজ পাওয়া যায়, তেমন নয়। এই ধরণের বিমা চিকিৎসায় সহায়তাও দেয়।