
ইতিমধ্যেই আমাদের কাজের ধরনে কিছু পরিবর্তন এসেছে। যার অন্যতম কারণ হল এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। কিন্তু আগামীতে কী হবে? আমাদের কাজের ধরন কি একেবারে বদলে যাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে? Zoom-এর সিইও এরিক ইউয়ানের সাম্প্রতিক একটি মন্তব্যের পর মনে করা হচ্ছে হয়তো এমনটাই হতে চলেছে। তিনি বলছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে কর্মক্ষেত্র এমনই হয়ে উঠবে যে সপ্তাহে পাঁচ দিন কাজের আর প্রয়োজনই থাকবে না।
ইউয়ান মনে করেন, এআই আমাদের সকলের জীবনকে আরও উন্নত করতে পারে। সেক্ষেত্রে সংস্থাগুলি অনায়াসে সপ্তাহে তিন বা চার দিনের কাজের ব্যবস্থা চালু করতে পারবে। এর ফলে কর্মীরা নিজেদের জন্য অনেক বেশি সময় পাবেন। তাঁর এই ভাবনার সঙ্গে সহমত মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসও। ২০২৩ সালে তিনি বলেছিলেন, “যদি এমন একটি সমাজ তৈরি হয় যেখানে সপ্তাহে মাত্র তিন দিন কাজ করতে হয়, তবে তা সম্ভবত ঠিকই আছে”। আবার গবেষণায় এটাও দেখা গিয়েছে সপ্তাহে ৪ দিন কাজ হলে তা সংস্থা ও সংস্থায় কর্মরতদের জন্য ভাল। কারণ এতে কর্মীদের প্রোডাক্টিভিটি বাড়ে।
তবে সকলেই এতটা আশাবাদী নন। Nvidia-র সিইও জেনসেন হুয়াং সতর্ক করেছেন যে, কাজের দিন কমলেও কাজের চাপ কমবে না। বরং চার দিনের মধ্যেই পাঁচ দিনের কাজ শেষ করার তাগিদ বাড়তে পারে।
অন্যদিকে, অ্যানথ্রোপিক (Anthropic)-এর সিইও ডারিও আমোডেইয়ের মতো বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন যে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে বহু হোয়াইট-কলার চাকরি চলে যেতে পারে। যদিও গুগল ডিপমাইন্ডের সিইও ডেমিস হাসাবিস মনে করেন, আগামী ৫-১০ বছরের মধ্যে এক ‘সোনালী যুগ’ আসতে পারে।
এই বিশ্বজোড়া বিতর্কের প্রভাব আমাদের দেশের তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীদের উপর কীভাবে পড়বে? ভবিষ্যতে কি সত্যিই কাজের সময় কমবে, নাকি কাজের চাপ আরও বাড়বে? এর উত্তর একমাত্র সময়ই দিতে পারে।