
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু কল্পবিজ্ঞানের বিষয় নয়। লালমোহন বাবুর ভাষায় তা ‘ঘোর বস্তব’। আর একাধিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যেমন, চ্যাটজিপিটির মতো উন্নত লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল, তারা ব্যবসার ক্ষেত্রে নিয়ে এসেছে নতুন এক দিগন্ত। কারণ, এই ধরণের এআইয়ের উপর ভিত্তি করে তৈরি হচ্ছে উদ্ভাবনী ব্যবসায়িক ধারণা। যা ফ্রিল্যান্সার এবং ছোটো ব্যবসায়ীদের জন্য খুলে দিচ্ছে আয়ের নতুন পথ।
চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে খুব সহজে কনটেন্ট তৈরি করা সম্ভব। যেমন, আপনি ঘোস্ট রাইটিং পরিষেবা শুরু করতে পারেন। যেখানে অন্যের জন্য ব্লগ, বই বা প্রবন্ধ লিখে দেওয়া হবে। এছাড়া অনলাইন কোর্স তৈরির উপাদান, সিলেবাস এবং লেকচারের স্ক্রিপ্টও বানানো যায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে। সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্টের ক্ষেত্রেও এর ভূমিকা অপরিসীম। বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের জন্য আকর্ষণীয় পোস্ট ও ক্যাপশন তৈরি করে আপনি একজন সফল সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হয়ে উঠতে পারেন।
অনেক সংস্থা এখন তাদের গ্রাহক পরিষেবা উন্নত করতে চাইছে। চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে অটোমেটেড কাস্টমার সাপোর্ট চ্যাটবট তৈরি করার ব্যবসা এখন বেশ লাভজনক। এটি ২৪ ঘণ্টা গ্রাহকদের সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম। এর পাশাপাশি, চাকরিপ্রার্থীদের জন্য পেশাদার রেজিউমে বা সিভি ও কভার লেটার তৈরি করে দেওয়ার পরিষেবাও একটি দারুণ উপায়। এই ধরনের এআই-চালিত পরিষেবাগুলির চাহিদা বিশ্বজুড়ে বাড়ছে।
ফ্রিল্যান্সার ও ছোটো উদ্যোগপতিদের জন্য এটি একটি সুবর্ণ সুযোগ। অল্প বিনিয়োগে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাঁরা নিজেদের ব্যবসা শুরু করতে পারছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী দিনে যে ব্যক্তি বা সংস্থা এআইকে যত ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারবে, অর্থনৈতিক জগতে তারাই ততটা এগিয়ে থাকবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাই যে ভবিষ্যতের অর্থনীতির অন্যতম ভিত্তি হতে চলেছে, তা নিঃসন্দেহে বলা যায়।