
আমেদাবাদে দুর্ঘটনার কবলে এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট নম্বর এআই ১৭১। ঘটনায় মৃতের সংখ্যা এখনও জানা যায়নি। ঘটনায় শোক প্রকাশ করে টুইট করেছে এয়ার ইন্ডিয়ার সিইও এন চন্দ্রশেখরণ। নিজেদের এক্স হ্যান্ডেলের প্রোফাইল ফটো ও ব্যানার ইমেজ কালো করে দিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া। তারা সাদাকালো করে দিয়েছে তাদের ওয়েব সাইটও।
এয়ার ইন্ডিয়ার এই বিমান তৈরি করেছিল আমেরিকান বিমান প্রস্তুতকারক সংস্থা বোয়িং। এই বিমানটির বয়স হয়েছিল ১১ বছর ৬ মাস। কিন্তু সংস্থা কি বলছে? আদৌ কি বুড়ো হয়েছিল এই বিমান?
বিমান তৈরি করেছে যে সংস্থা, তাদের ওয়াবসাইট বলছে এক একটি বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার এমন ভাবেই তৈরি যাতে তারা অন্তত ৩০ বছর উড়তে পারে। অন্তত ৪৪ হাজারবার ওড়ার ক্ষমতা রয়েছে এই বিমানের। কিন্তু এই বিমানটি উড়েছে মাত্র ১১ বছর।
বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার ২১০ থেকে ২৫০ জন যাত্রী বহন করার ক্ষমতা রাখে। এই বিমানটি ৮ হাজার ৫০০ নটিক্যাল মাইল উড়তে পারে ফুয়েল ট্যাঙ্ক ভর্তি থাকলে। এই ধরণের অন্য বিমানের তুলনায় প্রায় ২০ শতাংশ কম জ্বালানি ব্যবহার করে এই ড্রিমলাইনার।
প্রসঙ্গত, আমেদাবাদ থেকে লন্ডনের দূরত্ব প্রায় ৭ হাজার কিলোমিটার। আর এই দূরত্ব পাড়ি দেওয়ার জন্য এই ড্রিমলাইনার আদর্শ বিমান। এয়ার ইন্ডিয়া ছাড়াও এই রুটে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ বা এতিহাদ এয়ারওয়েজও এই বিমান ব্যবহার করে।