নয়া দিল্লি: এয়ার ইন্ডিয়া (Air India) বেচার পর সরকার তাদের সহায়ক কোম্পানি বেচার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। সরকার অ্যালায়েন্স এয়ারের ( Alliance Air) বিক্রির প্রক্রিয়া শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আর এর জন্য আগ্রহ পত্র (Expression of Interest) আগামি অর্থবর্ষে বের করা হবে। প্রসঙ্গত অ্যালায়েন্স এয়ার পূর্ববর্তী জাতীয় বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়ার একটি সহায়ক কোম্পানি। এই ব্যাপারে এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘আমাদের কাছে এয়ার ইন্ডিয়ার সহায়ক কোম্পানিগুলি বিক্রির জন্য মন্ত্রীসভার মঞ্জুরী আগে থেকেই রয়েছে। আমরা গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং ইউনিটের বিক্রির জন্য এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট আগামি অর্থবর্ষে বের করব।’ উল্লেখ্য, অ্যালায়েন্স এয়ারের কাজ ছিল এয়ার ইন্ডিয়ার জন্য গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং করা। এয়ার ইন্ডিয়ার চারটি সহায়ক কোম্পানি রয়েছে।
এই চারটি সহায়ক কোম্পানির নাম হল- এয়ার ইন্ডিয়া এয়ার ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসেজ লিমিটেড (AIATSL), এয়ারলাইন অ্যালায়েড সার্ভিসেজ লিমিটেড (AASL) বা অ্যালায়েন্স এয়ার (Alliance Air), এয়ার ইন্ডিয়া ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেজ লিমিটেড (AIESL) আর হোটেল কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া (HCI)। এয়ার ইন্ডিয়ার বেসরকারিকরণের আগে ২০১৯ এ সরকার এই চারটি সহায়ক কোম্পানির জন্য আলাদা করে একটি কোম্পানি তৈরি করেছিল, যার নাম এয়ার ইন্ডিয়া অ্যাসেট হোল্ডি লিমিটেড (AIAHL)। এটি একটি স্পেশাল পার্পাস ভেহিকলের মতো ছিল, যাদের কাছে এয়ার ইন্ডিয়ার নন-কোর সম্পদ রয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়ার উপর বকেয়া ঋণ রয়েছে তার পেমেন্ট এআইএএইচএলের তরফে সম্পদ বিক্রি করে করা হবে।
টাটা গোষ্ঠীকে বিক্রি করা হয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া
গত মাসে কেন্দ্রীয় সরকার এয়ার ইন্ডিয়ার মালিকানা টাটা গোষ্ঠীকে হস্তান্তর করেছিল। ওই আধিকারিক আরও জানিয়েছেন যে এখনও এটা ঠিক করা বাকি যে এই চারটি সহায়ক কোম্পানির বেসরকারিকরণের জন্য এয়ার ইন্ডিয়া বিশেষ বিকল্প ব্যবস্থা (AISAM/ এয়ার ইন্ডিয়া স্পেসিফিক অল্টারনেটিভ মেকানিজম) এর ব্যবহার করা হবে নাকি কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগের বিনিয়োগের (CPSE disinvestment) বিকল্প ব্যবস্থাকে গ্রহণ করা হবে।
AISAM এর প্রধান গৃহমন্ত্রী অমিত শাহ
কেন্দ্রীয় গৃহমন্ত্রী অমিত শাহ AISAM এর প্রধান। এছাড়াও AISAM এর কমিটিতে রয়েছেন অর্থমন্ত্রী, বাণিজ্য মন্ত্রী এবং বেসামরিক বিমান মন্ত্রীও। অন্যদিকে সরকারি উদ্যোগে বিনিয়োগের বিকল্প ব্যবস্থায় রয়েছেন সড়ক পরিবহন এবং রাজপথ মন্ত্রী, অর্থ মন্ত্রী এবং বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রী।
টাটার কাছ থেকে অর্থ পাওয়ার পর এখনও বাকি ৪৬ হাজার কোটির ঋণ
এয়ার ইন্ডিয়ার উপর মোট ৬১,৫৬২ কোটি টাকার ঋণ রয়েছে। বিনিয়োগ আর সরকারি সম্পত্তি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ (দীপম) এর সচিব তুহীন কান্ত পাণ্ডে জানিয়েছেন যে ৩১ আগষ্ট ২০২১ তারিখ অনুযায়ী, এয়ার ইন্ডিয়ার উপর মোচ ঋণ রয়েছে ৬১,৫৬২ কোটি টাকা। এয়ার ইন্ডিয়ার নিলামে টাটা গোষ্ঠীর বুলি ১৫,৩০০ কোটি টাকার ঋণ শোধ করে দিয়েছিল। টাটার এই ঋণ শোধের পর এখন এয়ার ইন্ডিয়ার উপর মোট ঋণের বোঝা রয়েছে ৪৬,২৬২ কোটি টাকা।
সংসদে কী বলেছিল সরকার?
সংসদে এখটি প্রশ্নের জবাবে সরকার জানিয়েছিল যে অর্থবর্ষ ২০১৯-২০-র প্রোভিশনাল পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এয়ার ইন্ডিয়ার উপর মোট ২৮,৩৬৬.৩৯ কোটি টাকার ঋণ (Total Debt on Air India) রয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়া অ্যাসেটস হোল্ডিং লিমিটেডের স্পেশাল পার্পাস ভেহিকলের (AIAHL) এর বিমান সংস্থা দ্বারা ২২,০৬৪ কোটি টাকা ট্রান্সফার করার পর এই ঋণ বাকি রয়েছে। সরকার সংসদে জানিয়েছিল যে যদি এয়ার ইন্ডিয়া বিক্রি না হয় তাহলে তাকে বন্ধ করাই একমাত্র উপায়।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
নয়া দিল্লি: এয়ার ইন্ডিয়া (Air India) বেচার পর সরকার তাদের সহায়ক কোম্পানি বেচার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। সরকার অ্যালায়েন্স এয়ারের ( Alliance Air) বিক্রির প্রক্রিয়া শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আর এর জন্য আগ্রহ পত্র (Expression of Interest) আগামি অর্থবর্ষে বের করা হবে। প্রসঙ্গত অ্যালায়েন্স এয়ার পূর্ববর্তী জাতীয় বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়ার একটি সহায়ক কোম্পানি। এই ব্যাপারে এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘আমাদের কাছে এয়ার ইন্ডিয়ার সহায়ক কোম্পানিগুলি বিক্রির জন্য মন্ত্রীসভার মঞ্জুরী আগে থেকেই রয়েছে। আমরা গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং ইউনিটের বিক্রির জন্য এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট আগামি অর্থবর্ষে বের করব।’ উল্লেখ্য, অ্যালায়েন্স এয়ারের কাজ ছিল এয়ার ইন্ডিয়ার জন্য গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং করা। এয়ার ইন্ডিয়ার চারটি সহায়ক কোম্পানি রয়েছে।
এই চারটি সহায়ক কোম্পানির নাম হল- এয়ার ইন্ডিয়া এয়ার ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসেজ লিমিটেড (AIATSL), এয়ারলাইন অ্যালায়েড সার্ভিসেজ লিমিটেড (AASL) বা অ্যালায়েন্স এয়ার (Alliance Air), এয়ার ইন্ডিয়া ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেজ লিমিটেড (AIESL) আর হোটেল কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া (HCI)। এয়ার ইন্ডিয়ার বেসরকারিকরণের আগে ২০১৯ এ সরকার এই চারটি সহায়ক কোম্পানির জন্য আলাদা করে একটি কোম্পানি তৈরি করেছিল, যার নাম এয়ার ইন্ডিয়া অ্যাসেট হোল্ডি লিমিটেড (AIAHL)। এটি একটি স্পেশাল পার্পাস ভেহিকলের মতো ছিল, যাদের কাছে এয়ার ইন্ডিয়ার নন-কোর সম্পদ রয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়ার উপর বকেয়া ঋণ রয়েছে তার পেমেন্ট এআইএএইচএলের তরফে সম্পদ বিক্রি করে করা হবে।
টাটা গোষ্ঠীকে বিক্রি করা হয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া
গত মাসে কেন্দ্রীয় সরকার এয়ার ইন্ডিয়ার মালিকানা টাটা গোষ্ঠীকে হস্তান্তর করেছিল। ওই আধিকারিক আরও জানিয়েছেন যে এখনও এটা ঠিক করা বাকি যে এই চারটি সহায়ক কোম্পানির বেসরকারিকরণের জন্য এয়ার ইন্ডিয়া বিশেষ বিকল্প ব্যবস্থা (AISAM/ এয়ার ইন্ডিয়া স্পেসিফিক অল্টারনেটিভ মেকানিজম) এর ব্যবহার করা হবে নাকি কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগের বিনিয়োগের (CPSE disinvestment) বিকল্প ব্যবস্থাকে গ্রহণ করা হবে।
AISAM এর প্রধান গৃহমন্ত্রী অমিত শাহ
কেন্দ্রীয় গৃহমন্ত্রী অমিত শাহ AISAM এর প্রধান। এছাড়াও AISAM এর কমিটিতে রয়েছেন অর্থমন্ত্রী, বাণিজ্য মন্ত্রী এবং বেসামরিক বিমান মন্ত্রীও। অন্যদিকে সরকারি উদ্যোগে বিনিয়োগের বিকল্প ব্যবস্থায় রয়েছেন সড়ক পরিবহন এবং রাজপথ মন্ত্রী, অর্থ মন্ত্রী এবং বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রী।
টাটার কাছ থেকে অর্থ পাওয়ার পর এখনও বাকি ৪৬ হাজার কোটির ঋণ
এয়ার ইন্ডিয়ার উপর মোট ৬১,৫৬২ কোটি টাকার ঋণ রয়েছে। বিনিয়োগ আর সরকারি সম্পত্তি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ (দীপম) এর সচিব তুহীন কান্ত পাণ্ডে জানিয়েছেন যে ৩১ আগষ্ট ২০২১ তারিখ অনুযায়ী, এয়ার ইন্ডিয়ার উপর মোচ ঋণ রয়েছে ৬১,৫৬২ কোটি টাকা। এয়ার ইন্ডিয়ার নিলামে টাটা গোষ্ঠীর বুলি ১৫,৩০০ কোটি টাকার ঋণ শোধ করে দিয়েছিল। টাটার এই ঋণ শোধের পর এখন এয়ার ইন্ডিয়ার উপর মোট ঋণের বোঝা রয়েছে ৪৬,২৬২ কোটি টাকা।
সংসদে কী বলেছিল সরকার?
সংসদে এখটি প্রশ্নের জবাবে সরকার জানিয়েছিল যে অর্থবর্ষ ২০১৯-২০-র প্রোভিশনাল পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এয়ার ইন্ডিয়ার উপর মোট ২৮,৩৬৬.৩৯ কোটি টাকার ঋণ (Total Debt on Air India) রয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়া অ্যাসেটস হোল্ডিং লিমিটেডের স্পেশাল পার্পাস ভেহিকলের (AIAHL) এর বিমান সংস্থা দ্বারা ২২,০৬৪ কোটি টাকা ট্রান্সফার করার পর এই ঋণ বাকি রয়েছে। সরকার সংসদে জানিয়েছিল যে যদি এয়ার ইন্ডিয়া বিক্রি না হয় তাহলে তাকে বন্ধ করাই একমাত্র উপায়।