
কলকাতা: টাটা গোষ্ঠীর আরও এক আইপিও বাজারে আসছে। এই খবর সামনে আসতেই শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছিল দালাল স্ট্রিটে। তুমুল উন্মাদনা দেখা যাচ্ছিল বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। এদিনই ছিল টাটা টেকনোলজির আইপিও (Tata Technologies IPO) সাবস্ক্রিপশনের প্রথমদিন। ঝড়ের গতিতে বিক্রি হয়ে গেল আইপিও। সূত্রের খবর, আইপিও খোলার ৪০ মিনিটের মধ্যে সাবস্ক্রিপশন পুরোপুরিভাবে সম্পূর্ণ হয়ে যায়। যা দেখে চোখ ছানাবড়া সকলেরই।
সূত্রের খবর, বুধবার বিকাল চারটে পর্যন্ত টাটা টেকনোলজির আইপিও-তে খুচরা বিনিয়োগকারীদের থেকে সবথেকে বেশি সাবস্ক্রিপশন দেখা গিয়েছে নন ইনস্টিটিউশনাল ইনভেস্টরদের বিভাগে। খুচরো বিনিয়োগকারীদের ক্ষেত্রে পরিমাণটা যেখানে ৫.৪৩ গুণ সেখানে নন ইনস্টিটিউশনাল ইনভেস্টরদের বিভাগে অঙ্কটা প্রায় ১২ গুণ। অন্যদিকে কোয়ালিফায়েড ইনস্টিটিউশনাল বিনিয়োগকারীদের ক্ষেত্রে সাবস্ক্রিপশন হয়েছে ৪.০৮ গুণ।
অন্যদিকে সংস্থার তরফে সম্প্রতি এই স্টকের শেয়ার প্রাইস ব্যান্ডও সামনে আনা হয়েছে। এই স্টকের এক একটি শেয়ার প্রতি দাম দাঁড়াচ্ছে ৪৭৫ থেকে ৫০০ টাকার আশেপাশে। যাঁরা আইপিও কেনার জন্য আবেদন করেছেন কতাঁরা নূন্যতম ৩০টি শেয়ার কেনার জন্য আবেদন করতে পারছিলেন। সংখ্যাটা তার উপরেও যেতে পারে। কিন্তু, সবথেকে কম ৩০ শেয়ার কিনতেই হবে। সোজা কথায় কম করে হলেও ১৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করতে হয়েছে বিনিয়োগকারীদের।
বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের তথ্য বলছে, টাটা টেকনোলজির প্রথমদিনে মোট সাবস্ক্রিপশনের পরিমাণ ছিল ৬.৫৪ গুণ। সংস্থার আইপিও তে ২৫০৫৩০৩০০ টি শেয়ারের বিড মিলেছে। অন্যদিকে সংস্থার মোট অফার ছিল ৪৫০২২৯২০৭টি শেয়ার। প্রসঙ্গত, টিসিএস থেকে টাইটান, সাম্প্রতিককালে টাটার প্রায় সব সংস্থার শেয়ারই দালাল স্ট্রিটে ভাল মুডে রয়েছে। এখন দেখার টাটা টেকনোলজিসের শেয়ার কিনে কতটা লাভের মুখ দেখেন বিনিয়োগকারীরা।
বিঃ দ্রঃ – এটি একটি শেয়ার বাজার এবং বিনিয়োগ সম্পর্কিত শিক্ষামূলক প্রতিবেদন। এই প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য কখনই বিনিয়োগে উৎসাহিত করা বা মুনাফা কামানোর সহজ উপায় খুঁজে দেওয়া নয়। শেয়ার বাজারের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানানোই এই প্রতিবেদনের অন্যতম লক্ষ্য। উল্লেখ্য, শেয়ার বাজারের বিনিয়োগ সর্বদাই ঝুঁকিুপূর্ণ।