
নয়া দিল্লি: ফাস্ট্যাগ ব্যবস্থা চালু করার পর হাইওয়ের টোল প্লাজাগুলিতে গাড়ির লাইন অনেকটা কমে গিয়েছে। টোল ট্যাক্সের ব্যবস্থা অনেক মসৃণ হয়েছে। আর এসবের মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন গুজব ভাইরাল হয়েছে। কোথাও বলা হচ্ছে, যদি টোল প্লাজায় একশো মিটারের লম্বা গাড়ির লাইন হয়ে যায়, তাহলে সেখানে নাকি টোল ট্যাক্স দিতে হবে না। আবার কোথাও দাবি করা হচ্ছে, যদি টোল প্লাজায় ১০ সেকেন্ডের বেশি কোনও গাড়িকে অপেক্ষা করতে হয়, তাহলেও টোলের টাকা দিতে হবে না। আর এসব তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ছেন গাড়ির চালক ও যাত্রীরাও। অনেকক্ষেত্রে পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায়, যে টোলপ্লাজার কর্মীদের সঙ্গে বচসা পর্যন্ত হয়ে যায় চালকদের। কিন্তু এসব তথ্য কি আদৌ সত্য? সত্যিই কি এসব ক্ষেত্রে টোল দিতে হয় না? জেনে নিন কী বলছে কেন্দ্রীয় সরকার।
কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এই সব দাবি সম্পূর্ণ ভুয়ো ও বিভ্রান্তিকর। সংসদের অধিবেশন চলাকালীন লোকসভায় এই নিয়ে লিখিত জবাব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নিতীন গডকরি। তিনি জানিয়েছেন, এই ধরনের কোনও স্কিমের কথা সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক কিংবা ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অব ইন্ডিয়ার কোথাও উল্লেখ করা নেই। মন্ত্রকের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ১০ সেকেন্ডের বেশি অপেক্ষা করতে হলেও প্রত্যেক গাড়ির চালককে টোল প্লাজায় নির্দিষ্ট ট্যাক্স দিতে হবে।
তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, গাড়ির ক্ষেত্রে ফাস্ট্যাগ বাধ্যতামূলক করার পর অনেক ক্ষেত্রে সুবিধা হয়েছে। ২০২১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশব্যাপী ফাস্ট্যাগ বাধ্যতামূলক হয়েছে। তারপর থেকে কী সুবিধা হচ্ছে তা নিয়ে ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অব ইন্ডিয়া একটি সমীক্ষা করেছিল ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত। তাতে দেখা গিয়েছে ফাস্ট্যাগ আসার পরে টোল প্লাজাগুলিতে গাড়ির অপেক্ষা করার সময় অনেকটা কমে গিয়েছে। আগে যেখানে ৭৩৪ সেকেন্ড অপেক্ষা করতে হত, ফাস্ট্যাগ ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক হওয়ার পর তা ৪৭ সেকেন্ডে নেমে এসেছে।