Apple Investment in India: ৬৪ বছরের পুরনো আইনের জেরে কি ভারতে ধাক্কা খাবে Apple?

Apple in India: আর ভারতে নিজেদের সম্প্রসারণের পথ এবার আরও মসৃণ করতে চাইছে অ্যাপেল। আর সেই কারণেই এবার তারা ১৯৬১ সালের একটি আইনকে নিয়ে দ্বারস্থ হয়েছে কেন্দ্রের। এই আয়কর আইন বদলানোর জন্য কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানিয়েছে তারা, খবর এমনই।

Apple Investment in India: ৬৪ বছরের পুরনো আইনের জেরে কি ভারতে ধাক্কা খাবে Apple?

Oct 16, 2025 | 5:42 PM

ভারতে আইফোন সহ নিজেদের একাধিক পণ্য তৈরি করতে একেবারে কোমর বেঁধে নেমেছে মার্কিং টেক সংস্থা অ্যাপেল। ইতিমধ্যেই তারা চিনের উপর নির্ভরতা কমাতে তাদের ভারতের কারখানায় উৎপাদন বাড়িয়ে দিয়েছে। উল্লেখ্য, ভারতের অ্যাপেলের আইফোন তোইরি হয় ৩টি কারখানায়। এর মধ্যে একটি কারখানা ফক্সকনের। বাকিগুলো সরাসরি বা ঘুরপথে টাটা গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ইতিমধ্যেই নিজেদের আইফোনের প্রোডাকশন বাড়াতে আরও একটি কারখানা অধিগ্রহণ করেছে টাটা গ্রুপের অধীনস্থ সংস্থা টাইটান।

আর ভারতে নিজেদের সম্প্রসারণের পথ এবার আরও মসৃণ করতে চাইছে অ্যাপেল। আর সেই কারণেই এবার তারা ১৯৬১ সালের একটি আইনকে নিয়ে দ্বারস্থ হয়েছে কেন্দ্রের। এই আয়কর আইন বদলানোর জন্য কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানিয়েছে তারা, খবর এমনই। এই জট না কাটলে ভারতে অ্যাপেলের কোটি কোটি টাকার বিনিয়োগ আটকে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

চিনের মতো ভারতেও যে সব সংস্থা আইফোন তৈরি করে সেই সংস্থাগুলোকে এই ফোন ও ফোনের একাধিক অংশ তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় মেশিন সরবরাহ করতে চায় অ্যাপেল। আর এখানেই সমস্যা তৈরি হয়েছে। ভারতের আইন অনুযায়ী, এইরকম কাজ করা হলে অ্যাপেলের লাভের উপর মোটা অঙ্কের কর বসবে। আর সেটাই চাইছে না এই মার্কিন টেক জায়ান্ট।

আবার এদিকে ভারত থেকে তাদের আইফোন তৈরি হওয়ায় অনেক বেশি লাভবান হচ্ছে অ্যাপেল। আর সেই কারণেই এই সব ব্যাপার নিয়ে একটু চাপেই রয়েছে এই মার্কিন সংস্থা। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের পর ভারতে আইফোনের বাজার বেড়েছে হু হু করে। একই ভাবে ভারতে তৈরি আইফোন বর্তমান আইফোন বাজারের প্রায় ২৫ শতাংশ। আর সেই কারণেই মূলত কিছুটা হলেও চাপে রয়েছে অ্যাপেল।

আবার অন্যদিকে, ভারতে চলতে থাকা মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পের জন্য এই দেশে অ্যাপেলের বিনিয়োগ খুবই জরুরি। আবার একটি মাত্র সংস্থার জন্য আইন কি বদল করা যায়? সেই প্রশ্নও আসতে পারে। তবে, এই আইনি জট না কাটলে, আগামীতে কী হবে সেটা নিয়ে একটা প্রশ্ন থেকেই যায়। আর এমন হলে তা আগামীতে ভারতের স্মার্টফোন পাওয়ার হাউস হয়ে ওঠার স্বপ্নে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে।