
দেশের সবচেয়ে পুরনো ইলেকট্রিক টু হুইলার স্টার্টআপ হল এথার এনার্জি। সংস্থা কয়েক মাস আগেই তাদের আইপিও লঞ্চ করেছে। কিন্তু ব্যপার হল, ঠিক কোন পথে ধীরে ধীরে এগিয়ে চলেছে এথার? কী বলছেন সিইও তরুণ মেহতা?
এনডিটিভিকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে এথার এনার্জির সিইও তরুণ মেহতা বলছেন, যেহেতু এথারের বেশিরভাগ স্টোরই এথারের নিজের নয়, কোনও না কোনও ডিলারের সেই কারণেই অনেক বাড়তি খরচের হাত থেকে বেঁচে যায় এই টেক স্টার্টআপ সংস্থা। এ ছাড়াও এথারের ফ্যামিলি স্কুটার রিজাতা আসায় কোম্পানির পোর্টফোলিও খানিকটা বড় হয়েছে আর এতে বেড়েছে বিক্রিও। আর সেই কারণেই এথারের উপর ভরসা করছে দেশের বড় বড় ডিলাররা।
এই সাক্ষাৎকারে এথারের প্রোডাক্ট নিয়ে বলতে গিয়ে সংস্থার চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার সোহেল পারেখ বলছেন পারফেশনের কথা। তিনি বলছেন, এথার পারফেক্ট প্রোডাক্ট তৈরি করে আর সেই কারণেই গ্রাহকরা সংস্থার উপর ভরসা অনেক বেশি করে। তাঁর বক্তব্যে এটাও উঠে এসেছে এই সংস্থা বিভিন্ন বিষয়ে উদ্ভাবনী নিয়ে কতটা ভাবিত। যে কারণে সংস্থা ৪৬ শতাংশ কর্মী প্রোডাক্ট রিসার্চ ও ডেভেলপমেন্টের সঙ্গে যুক্ত। তিনি এও আশা করেন, রিজতা তৈরি করতে ৪৫০ এক্সের তুলনায় বেশ কম খরচ হয়, আর সেই কারণেই এই স্কুটারের হাত ধরেই সংস্থার লাভের অঙ্ক বাড়তে থাকবে।
এ ছাড়াও তাঁদের বক্তব্যে উঠে আসে যে এথার প্রযুক্তি, উদ্ভাবনী ও প্রোডাক্টের উপর বিনিয়োগ করে। আর সেটাই লাভজনক হয় সংস্থার জন্য। এ ছাড়াও প্রো-প্যাক নিয়েও কথা বলেন তাঁরা। এথারের প্রো-প্যাক এমন এক সফটওয়্যার যা স্কুটারকে তার সর্বোচ্চ পোটেনশিয়ালে কাজ করতে সাহায্য করে। আর এথারের ৮৬ শতাংশের বেশি স্কুটারেই এই প্রো-প্যাক রয়েছে যা তাদের লভ্যাংশের ৬ শতাংশেরও বেশি।