Ayodhya Ram Mandir: ভাটিকান বা মক্কাকেও হারিয়ে দেবে অযোধ্যা, ‘ধনী’ রাজ্য হতে পারে উত্তর প্রদেশ
Ayodhya Ram Mandir: সমীক্ষা বলছে, বছরে অন্তত পাঁচ কোটি মানুষ অযোধ্যায় যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তাতে শুধুমাত্র উত্তর প্রদেশের নয়, লাভ হবে গোটা দেশের। ফুলে ফেঁপে উঠে পর্যটন শিল্প। উল্লেখ্য, দেশের অন্যতম বড় তীর্থক্ষেত্র হিসেবে গণ্য করা হয় অন্ধ্র প্রদেশের তিরুপতি বালাজি মন্দিরকে। সেখানে প্রতি বছর দর্শনে যান আড়াই কোটি ভক্ত। বছরে অন্তত ১২০০ কোটি টাকা আয় হয় ট্রাস্টের।
অযোধ্যা: রাম মন্দির ঘিরে পূণ্যার্থীদের উৎসাহ চোখে পড়ার মতো। উদ্বোধনের পর থেকেই রামলালাকে দেখতে ভিড় ঠেকানো যাচ্ছে না। তবে শুধুমাত্র রাম মন্দির নয়, গোটা অযোধ্যাকেই ঢেলে সাজানো হয়েছে। চেহারা বদলে গিয়েছে পথঘাট থেকে দোকানের। খুলে দেওয়া হয়েছে বিমানবন্দরও। আর এই মন্দিরের জন্য বিপুল ব্যবসার মুখ দেখতে চলেছে উত্তর প্রদেশ। এমনটাই বলছেন বিশেজ্ঞরা। রাম মন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর ৪ লক্ষ কোটি টাকা বাড়তে পারে গোটা রাজ্যের সম্পদ। যোগী আদিত্যনাথ সরকারের তরফে একটি স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার গবেষণা রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে, যাতে বলা হয়েছে আগামী অর্থবর্ষে যোগী-রাজ্য ট্যাক্স রেভিনিউ পাবে ২৫ হাজার কোটি টাকা।
ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উত্তর প্রদেশ সরকার উল্লেখ করেছে, পর্যটনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে অযোধ্যা তথা রাম মন্দির। শুধুমাত্র দেশের নাগরিকেরা নয়, বিদেশের নাগরিকদেরও আনাগোনা বাড়বে এই রাজ্যে। ফরেন স্টক মার্কেট রিসার্চ ফার্ম ‘জেফিয়ার্স’ দাবি করেছে, ভক্ত বা পূণ্যার্থীর সংখ্যায় ভাটিকান সিটি ও মক্কাকেও ছাপিয়ে যাবে অযোধ্যা। সমীক্ষা বলছে, বছরে অন্তত পাঁচ কোটি মানুষ অযোধ্যায় যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তাতে শুধুমাত্র উত্তর প্রদেশের নয়, লাভ হবে গোটা দেশের। ফুলে ফেঁপে উঠে পর্যটন শিল্প।
উল্লেখ্য, দেশের অন্যতম বড় তীর্থক্ষেত্র হিসেবে গণ্য করা হয় অন্ধ্র প্রদেশের তিরুপতি বালাজি মন্দিরকে। সেখানে প্রতি বছর দর্শনে যান আড়াই কোটি ভক্ত। বছরে অন্তত ১২০০ কোটি টাকা আয় হয় ট্রাস্টের। এছাড়া কাশ্মীরের বৈষ্ণোদেবীতে বছরে প্রায় ৮০ লক্ষ ভক্তে সমাগম হয়। তাজ মহলে বছরে ৭০ লক্ষ, আগ্রা ফোর্টে ৩০ লক্ষ দর্শকের সমাগম হয় প্রতি বছর।