
বাংলাদেশ আর বিদ্যুতের সঙ্কট যেন একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে। বাংলাদেশ এমনিতে ভারতের আদানি গোষ্ঠীর থেকে বিদ্যুৎ কেনে। আর এবার ভারতকে বাইপাস করে নেপাল থেকে বিদ্যুৎ কেনার ব্যাপারে বেশ কয়েক ধাপ এগিয়ে গিয়েছে ইউনূসের বাংলাদেশ।
২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে নেপাল, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি চুক্তি হয়। আর সেই চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশকে ভারত তাদের ৪০০ কিলো ভোল্টের ট্রান্সমিশন লাইন ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিল। আর এবার সেই লাইন দিয়েই নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করবে ইউনূস সরকার।
এখন আদানি গোষ্ঠীর থেকে বিদ্যুৎ কেনে ঢাকা। ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় আদানিরা একটি ১৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার সম্পন্ন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রও স্থাপন করেছে যেখানে থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। কিন্তু আদানির বিদ্যুতের দাম নিয়ে বারে বারে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। চুক্তি পুনরায় খতিয়ে দেখার মত পদক্ষেপও করেছিল ইউনূসের সরকার। তার ফলশ্রুতি হিসাবে ঝাড়খণ্ডের একটি ইউনিট বন্ধ রেখেছে আদনিরা।
নেপালের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ১৬ জুন থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত বিদ্যুৎ আমদানি করবে ঢাকা। আর এতে তাদের ইউনিট প্রতি ৭ বাংলাদেশি টাকা খরচ হবে। যা কিনা সে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচের তুলনায় প্রায় ৫০ শতাংশ সস্তা।
এমনিতে বিদ্যুতের জন্য অন্য দেশের থেকে বিদ্যুৎ কেনে বাংলাদেশ। আর এবার ভারত থেকে বিদ্যুৎ কেনাকে বাইপাস করতে চাইছে ঢাকা। আর সেই কাজে তাদের নির্ভর করতে হচ্ছে ভারতের উপরই।