
ব্যালেন্স শিটে ২ হাজার কোটির গোলমাল। আর সেই নিয়েই এবার কেন্দ্রীয় তদন্তের মুখে এই ব্যাঙ্ক। আসলে এখন সময়টা একেবারেই ভাল যাচ্ছে না ইন্ডাসইন্ড ব্যাঙ্কের। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ডেরিভেটিভ লেনদেনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে সিরিয়াস ফ্রড ইনভেস্টিগেশন অফিস বা SFIO।
হঠাৎ কেন সক্রিয় হল SFIO? আসলে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নতুন নিয়মের ফাঁসেই আটকে গিয়েছে এই ব্যাঙ্ক। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নির্দেশ দিয়েছিল, ১ কোটি টাকার বেশি আর্থিক জালিয়াতি হলেই তা জানাতে হবে কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের অধীনস্থ এই তদন্তকারী সংস্থাকে। সেই নিয়ম মেনেই গত ২ জুন ২০২৫-এ নথিপত্র জমা দেয় ইন্ডাসইন্ড ব্যাঙ্ক। আর তাতেই সামনে চলে আসে সবটা।
ব্যাঙ্কের অভ্যন্তরীণ ডেরিভেটিভ ট্রেডিং ও মাইক্রো ফাইন্যান্সের আয় নিয়ে একাধিক ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। আপনি জানলে অবাক হবেন, এই ডেরিভেটিভ বিভ্রাটের জেরেই ২০২৬ অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে বড়সড় লোকসানের মুখ দেখেছে এই বেসরকারি ব্যাঙ্কটি।
এই ঝড়ের ঝাপটা সামলাতে না পেরে ইতিমধ্যেই বিদায় নিয়েছেন ব্যাঙ্কের প্রাক্তন সিইও সুমন্ত কাঠপালিয়া এবং ডেপুটি সিইও অরুণ খুরানা। ফরেনসিক অডিটেও মিলেছে একের পর এক অসঙ্গতি। ব্যাঙ্ক অবশ্য জানিয়েছে, তারা তদন্তকারী সংস্থাকে সবরকম সহযোগিতা করছে।
শেয়ার বাজারের বিনিয়োগকারী থেকে সাধারণ আমানতকারী—সবার চোখ এখন তদন্তের গতিপ্রকৃতির দিকে। ২ হাজার কোটি টাকার এই হিসেবে শেষ পর্যন্ত কী বেরিয়ে আসে, সেটাই এখন দেখার।