
১৮০৬ সাল, টিপু সুলতান ও মারাঠারা তখন ইংরেজদের অবস্থা খারাপ করে দিচ্ছে। এই দুই দেশীয় শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ফিল্ড মার্শাল আর্থার ওয়েলেসলি। যিনি কিনা সম্পর্কে ভারতের গভর্নর জেনারেল লর্ড ওয়েলেসলির ভাই। এই আর্থার ওয়েলেসলি পরবর্তীতে হয়েছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীও। কিন্তু এই যুদ্ধের জন্য তখন প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। এই অর্থ জোগাড় করতে ব্রিটিশ সরকার কলকাতায় স্থাপন করল ব্যাঙ্ক অফ ক্যালকাটা।
১৮০৬ সালের ২ জুন স্থাপিত ব্যাঙ্ক অফ ক্যালকাটার নাম বদল করা হয়। ১৮০৯ সালের ২ জানুয়ারি এই ব্যাঙ্কের নাম হয় ব্যাঙ্ক অফ বেঙ্গল। ধীরে ধিরে এই ব্যাঙ্ক অফ বেঙ্গল ছড়িয়ে পড়তে থাকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। ১৮৬১ সালে তারা শাখা খোলে রেঙ্গুনে। ১৮৬২ সালে শাখা খোলে পটনা, মির্জাপুর ও বেনারসে। এর পর ব্যাঙ্ক অফ ঢাকা মিশে যায় ব্যাঙ্ক অফ বেঙ্গলে। তারপর কানপুরেও খোলা হয় এই ব্যাঙ্কের শাখা।
ব্যাঙ্ক অফ বেঙ্গলে অ্যাকাউন্ট ছিল পণ্ডিত ও রাজনীতিবিদ দাদাভাই নওরোজি, বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসু, ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি ডক্টর রাজেন্দ্র প্রসাদ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরের।
পরবর্তীতে ১৯২১ সালের ২৭ জানুয়ারি দেশের ৩টি প্রেসিডেন্সি ব্যাঙ্ক, ব্যাঙ্ক অফ ক্যালকাটা, ব্যাঙ্ক অফ বোম্বে ও ব্যাঙ্ক অফ মাদ্রাজ একত্রিত হয়ে আত্মপ্রকাশ করে ইম্পেরিয়াল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। ১৯৫৫ সালে ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এই ইম্পেরিয়াল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার উপর নিয়ন্ত্রণ পায় ও এই ব্যাঙ্কের নাম বদল করে রাখা হয় স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া।