BhatatPe: পেটিএম-এর পর এবার ভারতপে, কেন্দ্রের নোটিস নিয়ে কী বলছেন অশনীর গ্রোভার
BharatPe: সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতপে-কে পাঠানো নোটিসে সংস্থার অন্যতম প্রাক্তন সহ-প্রতিষ্ঠাতা অশনীর গ্রোভারকে নিয়ে হওয়া আইনি তদন্ত সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছে। মামলায় অশনীর সম্পর্কে যে সমস্ত তথ্যপ্রমাণ আদালতে পেশ করা হয়েছে সে সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে।
ফিনটেক ফার্ম ভারতপে (BharatPe) কে নোটিস ভারত সরকারের কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রকের (Ministry of Corporate Affairs- MCA)। কোম্পানিজ অ্যাক্টের নির্দিষ্ট ধারায় এই নোটিস জারি করা হয়েছে। এই ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি সম্পর্কে জানতে চেয়ে নোটিস পাঠানো হয়েছে। সদ্য বন্ধ হয়েছে পেটিএম ব্যাঙ্ক পরিষেবা। এরইমধ্যে ভারতপে-কে এই নোটিস ঘিরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। একের পর এক এই ঘটনায় ইউপিআই ব্যবহারকারীদের মধ্যে প্রশ্ন জাগছে, ইউপিআই পরিষেবাই না বন্ধ হয়ে যায়!
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতপে-কে পাঠানো নোটিসে সংস্থার অন্যতম প্রাক্তন সহ-প্রতিষ্ঠাতা অশনীর গ্রোভারকে নিয়ে হওয়া আইনি তদন্ত সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছে। মামলায় অশনীর সম্পর্কে যে সমস্ত তথ্যপ্রমাণ আদালতে পেশ করা হয়েছে সে সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। এ নিয়ে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে অশনীর লিখেছেন, ‘আমি খুশি এমসিএ কোম্পানির বিষয়ে জানতে চেয়েছে। আমি নিজেও এনসিএলটিতে গিয়েছি। আমায় এমসিএ নোটিস পাঠায়নি, পাঠিয়েছে কোম্পানিকে। আমি নিশ্চিত আমার এখানে কিছু করার নেই।’
I am happy MCA is looking into @bharatpeindia company matters. I’ve myself moved NCLT against the Company. I don’t have the MCA notice – it’s served to Company – not me – I am sure it’s got nothing to do with me. @ETtech / press would do well to use Rajnish Kumar / Shashvat… https://t.co/VWeUazFreX
— Ashneer Grover (@Ashneer_Grover) February 7, 2024
ইতিমধ্যেই ভারতপে এ নিয়ে তাদের বিবৃতি দিয়েছে। সংস্থার বক্তব্য, রেজিস্ট্রার অব কোম্পানিজ চিঠি পাঠিয়ে কিছু বিষয়ে জানতে চেয়েছে। তারা সমস্তরকমভাবে সহযোগিতা করছে বলেই দাবি করা হয়েছে। ২০২২ সাল থেকে বারবার বিতর্কে জড়িয়েছেন ‘শার্ক ট্যাঙ্ক’-এর অশনীর। কখনও খারাপ ভাষা ব্যবহার, কখনও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এইসব বিতর্কের মাঝে ভারত পে-র ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদ থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। কিন্তু সংস্থার ফরেন্সিক অডিট শুরু হতেই নতুন করে নানা অভিযোগ উঠতে থাকে অশনীরের বিরুদ্ধে। দিল্লি পুলিশের আর্থিক অপরাধের তদন্তকারী শাখা অশনীর ও তাঁর স্ত্রীকে ডেকে পাঠায়। এফআইআর দায়ের হয় অশনীর ও তাঁর পরিবারের একাধিক সদস্যর বিরুদ্ধে। লুকআউট নোটিসও জারি হয়েছিল সে সময়। আবারও অস্বস্তি বাড়ল এই উদ্যোগপতির।