
আপনার ইউপিআই আছে? মানে গুগল পে, ফোন পে বা পেটিএমের মাধ্যমে টাকা পেমেন্ট করেন? তাহলে জেনে রাখুন কিছু দিন পর থেকে আর হয়রো ওই ভাবে টাকা পেমেন্ট করতে পারবেন না আপনি। ইউপিআইতে বিরাট একটা বদল এসেছে, আর সেই কারণেই হয়তো আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছাড়াই এবার আপনি করতে পারবেন ইউপিআই।
আসলে, এবার থেকে সরাসরি লিক্যুইড মিউচুয়াল ফান্ড ব্যবহার করেই করা যাবে ইউপিআই। আর সম্প্রতি এই বিষয়টি নিয়েই চালু হয়েছে ‘পে উইথ মিউচুয়াল ফান্ড’। আসলে, লিক্যুইড ফান্ডে টাকা থাকলে সেটা অনেক ক্ষেত্রেই কাজ করে সেভিংস অ্যাকাউন্টের মতো। যদিও লিক্যুইড ফান্ডের রিটার্ন বেশ খানিকটা বেশি। বর্তমানে আইসিআইসিআই প্রুডেনশিয়াল মিউচুয়াল ফান্ড ও বাজাজ ফিনসার্ভ এএমসির মতো সংস্থাগুলি কিউরি মানি (Curie Money)-এর সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই পরিষেবা দিচ্ছে।
সেভিংস অ্যাকাউন্টে যেখানে সুদের হার ৪ শতাংশের কম, সেখানে লিকুইড ফান্ডে বর্তমানে ৭ শতাংশ পর্যন্ত রিটার্ন পাওয়া যাচ্ছে। অর্থাৎ, আপনার সামান্য সময়ের জন্য রাখা টাকাও বসে থাকছে না, সেভিংস অ্যাকাউন্টের চেয়ে বেশি রিটার্ন দিচ্ছে আপনাকে। শুধু তাই নয়, ইউপিআই-এর মাধ্যমে প্রয়োজন হলেই টাকা বেরিয়ে আসছে। অর্থাৎ তাৎক্ষণিক লিকুইডিটি মিলছে।
কিন্তু সাবধান। লিকুইড ফান্ড মানে কিন্তু তা অবশ্যই মার্কেটের সঙ্গে যুক্ত। সেভিংস অ্যাকাউন্টের মতো আপনার ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আমানত এখানে বিমার অধীনে রয়েছে, এমন নয়। তাই কম ঝুঁকি থাকলেও, ঝুঁকি কিন্তু রয়েছেই।
ঘন ঘন টাকা তুললে শর্ট-টার্ম ক্যাপিটাল গেন ট্যাক্স দিতে হতে পারে, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। ফলে, যাঁরা ৩০ শতাংশের বেশি ট্যাক্স ব্র্যাকেটে আছেন, তাঁদের জন্য এটা বড় মাথাব্যথা হতে পারে। আবার বেশ কিছু বাজার বিশেষজ্ঞ এও বলে সতর্ক করছেন যে, এই ফান্ডকে যেন পুরোপুরি আপনার জরুরি তহবিলের বিকল্প না ভাবা হয়। তাহলে কিন্তু আগামীতে সমস্যা কিছু ক্ষেত্রে বাড়তেই পারে।
লিকুইড ফান্ডে টাকা রাখতে পারেন। তাতে সেভিংস অ্যাকাউন্টের তুলনায় অবশ্যই বেশি রিটার্ন পাবেন। কিন্তু মনে রাখবেন, সম্পূর্ণ জরুরি তহবিল সর্বদা কিছু পরিমাণ সাধারণ সেভিংস অ্যাকাউন্টেও রাখতে হয়। বিনিয়োগের শৃঙ্খল বজায় রেখে ইউপিআইয়ের এই নতুন সুবিধা ব্যবহার করলে আপনির জন্য সেটা ভালই হবে।
কোথাও বিনিয়োগ করতে চাইলে সেই বিষয়ে যথাযথ তথ্যানুসন্ধান ও বিশ্লেষণ করুন। এই লেখা শুধুমাত্র শিক্ষাগত উদ্দেশ্যে। TV9 বাংলা বিনিয়োগের কোনও উপদেশ দেয় না।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: যে কোনও বিনিয়োগে বাজারগত ঝুঁকি রয়েছে। ফলে, আগে বিনিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত নথি সাবধানে পড়ে নেবেন। তারপর বিনিয়োগ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।