
খুব শীঘ্রই জিএসটির স্ল্যাবে বিরাট পরিবর্তন আসতে পারে। বলা হচ্ছে, এই বিষয়ে জিএসটি কাউন্সিল একটি পরিকল্পনা করছে। একটি সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, জিএসটি কাউন্সিলের আসন্ন সভায় ১২ শতাংশ করের স্ল্যাবটি বন্ধ করে দেওয়া হবে। এর ফলে শুধুমাত্র ৫, ১৮ ও ২৮ শতাংশের স্ল্যাব থাকবে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জিএসটির শীর্ষ আধিকারিকরা মনে করেন, ১২ শতাংশের স্ল্যাবটি বর্তমানে আর প্রাসঙ্গিক নয়। অতয়েব, এই স্ল্যাবের মধ্যে থাকা জিনিসগুলোকে ৫ শতাংশের স্ল্যাব বা ১৮ শতাংশের স্ল্যাবে স্থানান্তরিত করা যেতে পারে।
বর্তমানে ১২ শতাংশ জিএসটি বসে এমন জিনিসগুলোর মধ্যে রয়েছে কনডেন্সড মিল্ক, ২০ লিটারের প্যাকেটজাত পানীয় জল, কন্টাক্ট লেন্স, পনির, খেজুর এবং শুকনো ফল, সসেজ এবং অনুরূপ মাংসজাত পণ্য, পাস্তা, জ্যাম এবং জেলি, ফলের রস থেকে তৈরি পানীয়, প্যাকেটজাত ঝুরিভাজা বা ভুজিয়া, মেয়োনিজ, কার্পেট, ছাতা, টুপি, সাইকেল, বিশেষ গৃহস্থালীর সরঞ্জাম, বেত বা কাঠের তৈরি আসবাবপত্র, পেন্সিল এবং ক্রেয়ন, পাট বা কাপড়ের ব্যাগ ও শপিং ব্যাগ, ১,০০০ টাকার কম দামের জুতা, ডায়াগনস্টিক কিট ও মার্বেল এবং গ্রানাইট ব্লক।
এ ছাড়াও আরও অনেক কিছু রয়েছে যা ১২ শতাংশ ট্যাক্স স্ল্যাবে আসে। ৭ টাকার ৫০০ টাকার বেশি দামের হোটেল রুম, নন ইকোনমি ক্লাসের প্লেনের টিকিট, মাল্টিমোডাল পরিবহণ (রেল, সড়ক, সমুদ্র বা আকাশ পথের মধ্যে দুই ধরণের পদ্ধতি ব্যবহার করে) ও প্রযুক্তিগত ও ব্যবসায়ীক পরিষেবার উপরও ১২ শতাংশ জিএসটি বসে।
জুন বা জুলাই মাসে জিএসটি কাউন্সিলের পরবর্তী সভা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই কাউন্সিলে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ও রাজ্যগুলির অর্থমন্ত্রীরা রয়েছেন। ২০২৪ সালে শেষবার জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক হয়েছিল।