
নয়া দিল্লি: যদি আপনি পেনশনভোগী হন, তাহলে আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ আপডেট রয়েছে। লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়া নিয়ে বড় খবর দিল পেনশন ও পেনশনভোগী কল্যাণ বিভাগ। যদি নিয়মিত পেনশন পেতে চান, তাহলে আগামী ১ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর, ২০২৫-র মধ্যে লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। দেশের ২ হাজার জেলা ও মহকুমা সদর দফতরে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সমস্ত পেনশনভোগীদের জানানো হয়েছে যে তাদের ১ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে তাদের ডিজিটাল জীবন প্রমাণপত্র বা লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। ৮০ বছরের বেশি বয়সী প্রবীণ নাগরিকরা ১ অক্টোবর থেকে লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিতে পারবেন। যদি কেউ ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট জমা না দেন, তাহলে পেনশন পেতে দেরি হতে পারে।
ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট (DLC) হল একটি বায়োমেট্রিক এবং আধার-ভিত্তিক সার্টিফিকেট, যা প্রতিটি পেনশন উপভোক্তাকে প্রতি বছর জমা দিতে হয়। এই সার্টিফিকেট প্রমাণ করে যে পেনশনভোগী এখনও জীবিত। তাঁর পেনশন অব্যাহত থাকবে। এই সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার জন্য আধার নম্বর, নাম, মোবাইল নম্বর এবং পেনশন-সম্পর্কিত তথ্য যেমন PPO নম্বর এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিবরণ জমা দেওয়া প্রয়োজন।
সরকার ১৯টি পেনশন বন্টন ব্যাঙ্ক, ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্টস ব্যাংক (IPPB), পেনশনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন (PWA), রেলওয়ে, টেলিকমিউনিকেশন বিভাগ, ইউআইডিএআই (UIDAI) এবং ইলেকট্রনিক্স মন্ত্রকের সঙ্গে সহযোগিতায় কাজ করছে। পেনশনভোগীদের সুবিধার্থে দেশের প্রধান শহরগুলিতে ব্যাঙ্ক শাখা এবং ডাকঘরে বিশেষ শিবির তৈরি করা হয়। এছাড়াও বাড়িতে বসবাসকারী বয়স্ক, অসুস্থ এবং প্রতিবন্ধী পেনশনভোগীদের জন্য বাড়িতে গিয়ে বা হাসপাতালে পরিষেবা প্রদান করা হয়।
পেনশনভোগীরা বিভিন্ন উপায়ে ডিজিটাল জীবন শংসাপত্র জমা দিতে পারেন। আপনি আধার তথ্য সহ জীবন শংসাপত্র পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে এটি জমা দিতে পারেন। এছাড়া আপনি এটি পোস্টম্যানের মাধ্যমে ডোরস্টেপ ব্যাঙ্কিং পরিষেবার মাধ্যমে লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিতে পারেন।
ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট তৈরি করতে আধার নম্বর বা ভার্চুয়াল আইডি (ভিআইডি) প্রয়োজন। এটি ছাড়া ডিএলসি তৈরি করা সম্ভব নয়। অতএব, যদি আপনার আধার কার্ড এখনও তৈরি বা লিঙ্ক করা না হয়ে থাকে, তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটি সম্পূর্ণ করুন।