নয়া দিল্লি: সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা খেল রিলায়েন্স গোষ্ঠী। ফিউচার রিটেল লিমিটেডের মালিকানা নিয়ে অ্যামাজনের সঙ্গে যে আইনি লড়াইয়ে নেমেছিল অম্বানীর সংস্থা, তাতে সুপ্রিম কোর্ট বিদেশী সংস্থার সপক্ষেই রায় দিল।
গত বছর লকডাউনে আর্থিক মন্দা চলাকালীনই ২৪ হাজার ৭১৩ কোটি টাকা দিয়ে ফিউচাররিটেল লিমিটেড কিনে নেয় রিলায়েন্স গ্রুপ। কিন্তু তারই আগে ২০১৯ সালে জেফ বেজোসের সংস্থা ফিউচার গ্রুপে বিনিয়োগ করে এবং ৪৯ শতাংশ শেয়ার কিনে নেয়। এরমধ্যে ফিউচার রিটেলের ৯.৮২ শতাংশ শেয়ারও ছিল। অ্যামাজনের সঙ্গে শর্তে স্পষ্ট উল্লেখ ছিল “রেস্ট্রিকটেড পার্সন লিস্টে” যে সংস্থাগুলির নাম রয়েছে, তাদের কাছে সংস্থার স্বত্ত্ব বিক্রি করতে পারবে না ফিউচার গ্রুপ। ওই তালিকায় রিলায়েন্সেরও নাম ছিল।
রিলায়েন্সের কাছে সংস্থার মালিকানা বিক্রি করে দেওয়াতেই আদালতের দারত্ব হয় অ্যামাজন। সিঙ্গাপুরের আদালত ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে রায়ে জানায়, অ্যামাজনের সঙ্গে চুক্তি থাকাকালীন ফিউচার রিটেল রিলায়েন্সের সঙ্গে মিলিত হতে পারে না। সিঙ্গাপুরের আদালতের অন্তিম রায়দান বাকি থাকলেও এ দিন সুপ্র্রিম কোর্টের তরফে বলা হয়, “সিঙ্গাপুর আদালতের পর্যবেক্ষণ সঠিক।”
উল্লেখ্য, অ্যামাজন সংস্থার তরফে প্রথমেই সুপ্রিম কোর্ট নয়, দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন জানানো হয়েছিল। সেই সময় আদালতের তরফে ফিউচার গ্রুপের কর্ণধার কিশের বিয়ানির সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে ফেব্রুয়ারি মাসে দিল্লি হাইকোর্টেরই ডিভিশন বেঞ্চ সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ জারি করে। এরপরই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় অ্যামাজন।
শীর্ষ আদালতের আবেদনে অ্যামাজনের তরফে জানানো হয়, দিল্লি হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণরূপে বেআইনি। ৬.৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করার পর যদি শীর্ষ আদালত হস্তক্ষেপ না করে, তবে চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে অ্যামাজন।
বিশ্বের অন্যতম ধনী দুই ব্যক্তি জেফ বেজোস ও মুকেশ অম্বানীর লড়াইয়ে কে জেতে, এখন তার দিকেই তাকিয়ে রয়েছে দেশের ই-কমার্স ও শপিং সেক্টর। আরও পড়ুন: করোনা ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে অর্থনীতি, সপ্তম দফাতেও অপরিবর্তিতই থাকল রেপো রেট