
নয়া দিল্লি: পেট্রোল লিটার প্রতি ১১২ টাকা। ডিজেলের দামও ৯১ থেকে ৯৩ টাকায় ঘোরাফেরা করছে। লোকসভা নির্বাচনের সময় শুধু ২ টাকা কমেছিল। তারপর আর দাম কমেনি সেভাবে। নতুন বছরে কিন্তু স্বস্তি পেতে পারে মধ্যবিত্ত। দাম কমতে পারে পেট্রোল-ডিজেলের।
২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময়েই তেলের বাজারে লেগেছিল আগুন। এপ্রিল মাসেই ব্যারেল প্রতি অপরিশোধিত তেলের দাম পৌঁছেছিল ৯০ ডলারে। পরে সামান্য কমলেও ফের ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে বেড়ে গিয়েছিল অপরিশোধিত ক্রুড তেলের দাম। বর্তমানে অনেকটাই সস্তা ক্রুড তেল। বিশ্ববাজারে ব্যারেল প্রতি দর ৭২ ডলার। ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুড বা ডব্লিউটিআই -র দাম ৬৮ ডলার প্রতি ব্যারেল।
বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কমায়, অনেকটাই সস্তায় তেল কিনছে ভারত। ফলে পেট্রোল-ডিজেল এবং পেট্রোলিয়াম জাত পণ্যের দামও কমতে পারে বলেই আশাবাদী অনেকে। সেক্ষেত্রে পেট্রোল ডিজেলের দাম ৮০ টাকা পর্যন্ত কমতে পারে।
তবে দাম কমায় বাধা হয়ে দাড়াচ্ছে ডলারই। যেভাবে প্রতিদিন ডলারের সাপেক্ষে টাকার দাম কমছে, তাতে তেল ব্যবসায়ীদের আমদানি শুল্কেই অনেকটা খরচ হয়ে যায়। দাম কমানোর সুযোগ মেলে না বিশেষ। কেউ কেউ আবার পেট্রোল-ডিজেলের দাম না কমার পিছনে রাজনীতির গন্ধও পেয়েছেন। এখন সরকার ও তৈল উৎপাদক সংস্থাগুলি কী সিদ্ধান্ত নেয়, তাই-ই দেখার।