নয়া দিল্লি: বছরের শুরুতে জিও, এয়ারটেল, ভোডাফোন আইডিয়ার মতো বেসরকারি টেলিকম সংস্থাগুলি একযোগে ট্যারিফ প্ল্যান বাড়িয়েছিল। তারপর থেকে সাধারণ মানুষের ঝোঁক তৈরি হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ব বিএসএনএল-এর প্রতি। শুধু জুলাই মাসেই এই সরকারি টেলিকম সংস্থার নতুন গ্রাহক তৈরি হয়েছে লক্ষাধিক। ফলে, বিএসএনএল-ও গা ঝাড়া দিয়ে উঠেছে। ৪জি রোল আউটের গতি বাড়িয়েছে তারা। সেই সঙ্গে জোর দি্ছে নতুন পরিষেবা দেওয়ার দিকে। এরই মধ্য়ে এল বড় সাফল্য। সম্প্রতি শেষ হল তাদের ৫জি পরিষেবার পরীক্ষা।
কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বলেছেন, “৩.৬ গিগাহার্টজ এবং ৭০০ মেগাহার্টজ – দুই ব্যান্ডেই দেশীয়ভাবে তৈরি ৫জি রেডিও অ্যাক্সেস নেটওয়ার্ক (5G RAN) এবং কোরের পরীক্ষা সফল হয়েছে। ভারত শীঘ্রই দেশীয় ৫জি পরিষেবা স্থাপন করবে।”
কিন্তু ঠিক কবে? কথা হচ্ছে ৫জি নিয়ে, কিন্তু বিএসএনএল বর্তমানে ৪জি নেটওয়ার্কের সাইট স্থাপন করছে। বর্তমানে, ৩৯,০০০ সাইট স্থাপন করা হয়েছে। লক্ষ্য হল ২০২৫ সালের মাঝামাঝি ১ লক্ষ সাইট স্থাপন করা। তবে, মজার বিষয় হল, ২০২৫ সালের মধ্যেই এই ৪জি নেটওয়ার্কের সাইটগুলিকে ৫জি-তে আপগ্রেড করা হবে। দেশের প্রথম টেলিকম অপারেটর হিসেবে দেশীয় ৪জি এবং ৫জি নেটওয়ার্ক স্থাপন করবে বিএসএনএল।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ৭০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডকে ৫জি প্রিমিয়াম ব্যান্ড বলে বিবেচনা করা হয়। কারণ, এই ব্যান্ড একটি ব্যাপক এলাকায় কভারেজ দেয়। রিলায়েন্স জিও ছাড়া, টেলিকম অপারেটরদের মধ্যে একমাত্র বিএসএনএল-এরই এই ব্যান্ডের অ্যাক্সেস রয়েছে। এই ব্যান্ডের অ্যাক্সেস পাওয়ার খরচ অনেক বেশি বলে এয়ারটেল এবং ভোডাবোন আইডিয়া এতে বিনিয়োগ করেনি।