নয়া দিল্লি: ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের জন্য কেন্দ্রীয় বাজেটে পরিকাঠামোর উন্নয়নে জোর দিল মোদী সরকার। এই ক্ষেত্রে বাজেট বরাদ্দ ৩৩ শতাংশ বাড়িয়ে ১০ লক্ষ কোটি টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। যা ভারতের জিডিপির ৩.৩ শতাংশ। এদিন বাজেট বক্তৃতা দেওয়ার সময়, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেন, “আঞ্চলিক বিমান যোগাযোগ উন্নত করার জন্য ৫০টি অতিরিক্ত বিমানবন্দর, হেলিপ্যাড, ওয়াটার এরো ড্রোন এবং উন্নত ল্যান্ডিং গ্রাউন্ড পুনরুজ্জীবিত করা হবে।” এর জন্য বাজেটে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের জন্য ৩,১১৩.৩৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। দেশের পরিতকাঠামোর উন্নয়নের লক্ষ্যে পরিকাঠামো অর্থ সচিবালয় স্থাপন করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রীর আশা, এই নতুন সচিবালয় এই ক্ষেত্রে আরও বেসরকারি বিনিয়োগ আকর্ষণে সহায়তা করবে।
মঙ্গলবার, সংসদে অর্থনৈতিক সমীক্ষা রিপোর্ট পেশ করা হয়েছিল। সেই রিপোর্টেও বলা হয়েছিল যে, বিমান যাত্রার ক্ষেত্রে মধ্যবিত্তের চাহিদা ক্রমে বাড়ছে। তাই, দেশের অসামরিক বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রে প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। সমীক্ষায় ‘উড়ে দেশ কা আম নাগরিক’ বা ‘উড়ান’ প্রকল্প-সহ অসামরিক বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রকে উৎসাহ দিতে বিভিন্ন প্রকল্প চালু করা হয়েছে। উড়ান প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরে আঞ্চলিক বিমানবন্দর চালু করার মাধ্যমে আঞ্চলিক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটানো হয়েছে। এই প্রকল্পের অধীনে মোট ৫৯টি পর্যটন পথের সংখ্যা বেড়েছে।
৫০টি বিমানবন্দর, হেলিপ্যাড, ওয়াটার এরো ড্রোন এবং ল্যান্ডিং গ্রাউন্ড তৈরির পাশপাশি বন্দর, কয়লা, ইস্পাত, সার এবং খাদ্যশস্য ক্ষেত্রে যোগাযোগের উন্নয়নের জন্য আরও ১০০টি গুরুত্বপূর্ণ পরিবহন সম্পর্কিত পরিকাঠামো উন্নয়নের প্রকল্প চিহ্নিত করা হয়েছে। নির্মলা সীতারমণ জানিয়েছেন, “ব্যক্তিগত অর্থের উৎস থেকে ১৫,০০০ কোটি টাকা লগ্নি করা হবে। সব মিলিয়ে মোট ৭৫,০০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ করা হবে এই প্রকল্পে। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এর রূপায়ণ করা হবে।”
এই ঘোষণার ফলে শুধুমাত্র যে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকই লাভবান হবে তা নয়। মনে করা হচ্ছে আরও বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রের মানুষ বিশেষ সুবিধা পাবেন। ৫০টি অতিরিক্ত বিমানবন্দরের ফলে বিমান সংযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে, যা ভারতীয় নাগরিকদের প্রত্যাশা পূরণ করবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি এই ঘোষণার ফলে প্রত্যক্ষভাবে ও পরোক্ষে হাজার হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলেও আশা করা হচ্ছে।