কলকাতা: বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। নির্বাচনী দামামা বেজে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। শুরু হয়ে গিয়েছে সলতে পাকানোর কাজ। এদিকে এরইমধ্যে পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ফলও সামনে এসে গিয়েছে। লোকসভার ফাইনালের আগে সেমিফাইনালের সেই রেজাল্টে জয়জয়কার বিজেপির। তাতেই ফের বড়সড় শ্রীবৃদ্ধি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে শেয়ার মার্কেটে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চব্বিশের লোকসভার অপেক্ষার আর বিশেষ প্রয়োজন নেই, বিধানসভা ভোটে পদ্ম শিবিরের জয়েই ফের লক্ষ্মীলাভের মুখে বিনিয়োগকারীরা। প্রসঙ্গত, করোনাকাল থেকেই ভারতীয় শেয়ার মার্কেটের অবস্থা বিশেষ ভাল যাচ্ছিল না। ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ থেকে হালের হামাস-ইজরায়েল সংঘর্ষের প্রভাবও পড়েছে ভারতীয় বাজারে। সেখানে বিজেপির নিরুঙ্কুশ জয় দালাল স্ট্রিটে নতুন করে অক্সিজেনের সঞ্চার করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
সদ্য প্রকাশিত বিধানসভাগুলির রেজাল্ট বের হওয়ার পর অনেকেই ভাবছেন আসন্ন লোকসভা নির্বাচনেও ফের ক্ষমতায় আসতে চলেছে বিজেপি। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এই ভাবনাকে হাতিয়ার করেই ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে ভারতীয় শেয়ার বাজার। কারণ, স্টক মার্কেট সর্বদাই মুখিয়ে থাকে স্থিতিশীল সরকারের দিকেই। সেখানে নয়া বুল রানের পিছনে বিজেপির ডাবল ইঞ্জিন সরকারের প্রচার কাজে এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজ্য ও কেন্দ্র, দুই জায়গাতেই বিজেপির সরকার ক্ষমতায় থাকলে বিল থেকে আইন পাশ, উন্নয়নের গতিধারা বজায় থাকবে বলে অনেকের মত। তারই ছাপ পড়তে শুরু করেছে মার্কেটে।
শেয়ার বিশেষজ্ঞদের মতে, এক সরকার বদলে গেলে তার দেশ চালানোর নীতি, কর কাঠামো, বাজেট সবক্ষেত্রেই পরিবর্তন আসে। সে কারণেই অতীতে দেখা গিয়েছে সরকার পরিবর্তনের সময় কিছু মাস বেশ মন্দাদশা গিয়েছে শেয়ার বাজারে। কিন্তু, কেন্দ্রে থাকা দলের বদল না হলে গতি বজায় থেকেছে বুল রানের।
বিঃ দ্রঃ – এটি একটি শেয়ার বাজার এবং বিনিয়োগ সম্পর্কিত শিক্ষামূলক প্রতিবেদন। এই প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য কখনই বিনিয়োগে উৎসাহিত করা বা মুনাফা কামানোর সহজ উপায় খুঁজে দেওয়া নয়। শেয়ার বাজারের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানানোই এই প্রতিবেদনের অন্যতম লক্ষ্য। উল্লেখ্য, শেয়ার বাজারের বিনিয়োগ সর্বদাই ঝুঁকিুপূর্ণ।