
শুধুমাত্র রোজগারের জন্য নয়, নিজের ভাল লাগার জন্য, একটা পরিচয় তৈরি করার জন্যও কাজ করা জরুরি। চাকরি হোক বা ব্যবসা, কোনও কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকলে মনও থাকে তরতাজা। চাকরি পাওয়া বর্তমান যুগে খুব একটা সহজ নয়। তবে ব্যবসা তো করা যেতেই পারে। অনেকেই বলবেন, ব্যবসায় বিনিয়োগ করাটাও সহজ নয়। সবার অর্থনৈতিক অবস্থা তো সমান নয়! তবে জেনে নেওয়া দরকার, মাত্র ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেও ব্যবসা শুরু করা যায়। আর আয় হতে পারে অনেক বেশি। এমন কয়েকটি ব্যবসার খোঁজ দেওয়া হল-
আমাদের দেশে বিভিন্ন রাজ্যে খাদ্যের ধরনে তফাৎ থাকলেও আচার মোটামুটিভাবে সব জায়গাতেই জনপ্রিয়। আম, তেঁতুল, লেবু- বিভিন্ন জিনিস দিয়ে আচার তৈরি করা যায়। এইসব জিনিস কিনতে খরচ বেশি হয় না। শুধু মশলার যাদু আর হাতের গুনে স্বাদ বেড়ে যায় অনেকটা। ব্যবসা বাড়াতে গেলে খরচ শুধু ভাল প্যাকেজিং আর মার্কেটিং-এ। ১০ হাজার পুঁজি নিয়ে অনায়াসে প্রাথমিকভাবে এই ব্যবসা শুরু করা যায়।
না তেমন কোনও খরচ নেই, শুধু নিজের দক্ষতা আর সৃজনশীলতা দিয়েই ব্লগিং করে রোজগার করা যায় অনায়াসে। নিজের ব্লগিং-এর ফলোয়ার বাড়াতে পারলে অনেক নামি দামী ব্র্যান্ডও বিজ্ঞাপনের জন্য ডাকতে পারে।
ছোটবেলা থেকে যোগা শেখেন অনেকেই। সেখান থেকেও রোজগার করা যায়। একটা বড় জায়গা দরকার যেখানে যোগ ব্যায়াম শেখানো যায়। এছাড়া আর তেমন কোনও খরচ নেই। আর আয় সম্পর্কে ধারনা রয়েছে অনেকেই।
রান্না করা এমন কোনও কঠিন কাজ নয় আবার খুব সহজও নয়। অনেকে আবার সময়ের অভাবে রান্না করতে পারেন না। কর্মরত মহিলারা অনেক সময় ভাল হোম ডেলিভারি খোঁজেন, যেখান থেকে ঘরোয়া রান্না আনিয়ে খাওয়া যাবে। সুতরাং মাছ, ভাত, ডাল রেঁধেও ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে খুব কম খরচে।
সুতরাং পকেটে মোটা টাকা না থাকলে, ব্যবসা হয় না, এটা ভাবা ভুল। না ভেবে সহজেই শুরু করে ফেলতে পারেন ব্যবসা।