
“পৃথিবীটা নাকি ছোট হতে হতে, স্যাটেলাইট আর কেবলের ফাঁকে…”, গানটার কথা মনে পড়ে? আমাদের পৃথিবীটা সত্যিই ক্রমশ ছোট হয়ে আসছে। আর এই ছোট হওয়ার গতিকেই আরও তরান্বিত করছে বিভিন্ন অ্যাপার্টমেন্টগুলো। সেখানে ১০০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট কিনলে কার্পেট এরিয়া পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৫৭০ বর্গফুট।
আনারক রিসার্চের সংগ্রহ করা তথ্যই বলছে এমন কথা। যত দিন যাচ্ছে, কার্পেট এরিয়ার সঙ্গে সুপার বিল্ট এরিয়ার পার্থক্য বাড়ছে হুড়মুড়িয়ে। এই সমীক্ষার তথ্য বলছে মুম্বইয়ে এই পার্থক্য সবচেয়ে বেশি। কোনও অ্যাপার্টমেন্টের সুপার বিল্টের তুলনায় প্রায় ৪৩ শতাংশ কম জায়োগা মিলছে কার্পেট এরিয়ায়।
করোনার আগে ২০১৯ সালের তথ্য বলছে কলকাতা, মুম্বই, দিল্লি সহ দেশের প্রথম সারির শহরগুলোয় সুপার বিল্টের ৭০ শতাংশের কাছাকাছি ছিল কার্পেট এরিয়া। যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কমেছে। এই সময় মুম্বইয়ে কার্পেট এরিয়া ছিল ৬৭ শতাংশ। যা আজ গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭ শতাংশে।
একইভাবে কার্পেট এরিয়া কমেছে দিল্লি এনসিআরে। ২০১৯ সালে কার্পেট এরিয়া ছিল ৬৯ শতাংশ যা বর্তমানে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৫৯ শতাংশে। কলকাতা নিয়েও আমাদের গর্ব করার তেমন কোনও অবকাশ নেই। ২০১৯ সালে কলকাতায় সুপার বিল্টের ৭০ শতাংশ হত কার্পেট এরিয়া। আর আজকের দিনে দাঁড়িয়ে সে জায়গা ক্রমশ ছোট হতে হতে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৬১ শতাংশে।
কোনও অ্যাপার্টমেন্টের সুপার বিল্টের কতটা অংশ হবে কার্পেট এরিয়া, তা নিয়ে কেন্দ্রের কোনও নির্দিষ্ট আইন নেই। ফলে, আগামীতে এই পার্থক্য আরও বাড়তে পারে, মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
কিন্তু এমন কেন হচ্ছে? বর্তমানে বিভিন্ন অ্যাপার্টমেন্টে বড় লিফট, জিম বা কমিউনিটি হলের মতো ইউটিলিটি এরিয়া বা বিভিন্ন সেফটি প্রোটোকলের কারণে বাড়ছে সুপার বিল্ট এরিয়া। আর ক্রেতারাও এই বিষয়গুলো মেনে নিচ্ছেন জীবনযাত্রার চাহিদায়। আর সেই কারণেই ক্রমশই ছোট হয়ে যাচ্ছে তাঁদের ফ্ল্যাটের আয়তন।