নয়া দিল্লি: কোটি কোটি টাকার আমানত, এদিকে দাবিদার নেই কোনও। দেশে ক্রমশ বেড়ে চলেছে দাবিহীন অর্থের (Unclaimed Deposit) ভাণ্ডার। সম্প্রতিই সংসদে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেশ করে কেন্দ্র। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, গত বছরের তুলনায় চলতি অর্থবর্ষে এইধরনের দাবিহীন আমানতের পরিমাণ ২৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যাঙ্কে দাবিহীন জমা থাকা আমানতের পরিমাণ কত জানেন? ৪২ হাজার ২৭০ কোটি টাকা! ২০২৩ সালের মার্চ মাসের পরিসংখ্যান এটি।
গত ১৯ ডিসেম্বর সংসদের অধিবেশনে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, ২০২২ অর্থবর্ষের তুলনায় চলতি অর্থবর্ষে পাবলিক ও প্রাইভেট-দুই সেক্টরের ব্য়াঙ্কেই দাবিহীন আমানতের সংখ্যা বেড়েছে। ২০২২ সালে যেখানে ব্যাঙ্কে জমা থাকা দাবিহীন আমানতের সংখ্যা ছিল ৩২ হাজার ৯৩৪ কোটি টাকা, সেটাই ২০২৩ অর্থবর্ষের মার্চের শেষে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ হাজার ২৭২ কোটি টাকায়। অর্থাৎ এক বছরে দাবিহীন আমানতের পরিমাণ ২৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, এই ৪২ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ৩৬ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা বিভিন্ন সরকারি ব্যাঙ্কে জমা রয়েছে, অন্যদিকে বেসরকারি ব্যাঙ্কে জমা রয়েছে ৬ হাজার ৮৭ কোটি টাকা।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার নিয়ম অনুযায়ী, যদি এক দশক বা তার বেশি সময় ধরে কোনও অ্যাকাউন্টে টাকা পড়ে থাকে এবং তার কোনও দাবিদার না থাকে, তবে তা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ডিপোজিটর এডুকেশন অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস ফান্ডে ট্রান্সফার করে দেওয়া হয়।
অর্থ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ভগবত কে করাদ জানান, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া দাবিহীন আমানতের বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। আরবিআই-র তরফে ব্যাঙ্কগুলিকে দাবিহীন আমানতের অ্যাকাউন্টগুলি, যেগুলি বহু বছর ধরে নিষ্ক্রিয় পড়ে রয়েছে, তার তালিকা যেন ব্যাঙ্কের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। আইনসম্মতভাবে অ্যাকাউন্টের মালিকের উত্তরসূরীর হাতে আমানত তুলে দেওয়ার জন্যই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।