
মধ্যবিত্ত মাত্রেই স্বপ্ন থাকে নিজের একটা বাড়ি হবে। নিজের গাড়ি হবে। কিন্তু বর্তমানে যে হারে সব জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে তাতে গাড়ি-বাড়ির স্বপ্ন পূরণ করতে গিয়ে মাথায় হাত পড়ছে মধ্যবিত্তের। কিন্তু ইএমআইতে যদি কেনা হয় গাড়ি, তাহলে কিছুটা হাসি ফোটে মধ্যবিত্তের মুখে।
ভারতে সবচেয়ে সস্তা গাড়ি মারুতি সুজুকির এস-প্রেসো ও অল্টো কে১০। কলকাতায় এই দুই গাড়ির বেস ভ্যারিয়েন্টের অনরোড প্রাইস ৫ লক্ষ ১২ হাজারের আশেপাশে। এই গাড়ি কেনার সময় আপনি যদি ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা ডাউন পেমেন্ট করেন ও বাকি টাকার ১০ শতাংশ সুদের হারে ৫ বছরের জন্য বাকি ৩ লক্ষ ৭২ হাজার টাকা লোন নেন তাহলে মাসিক ৮ হাজার টাকার কমেই আপনি বাড়ি নিয়ে আসতে পারবেন একটা নতুন চারচাকা গাড়ি।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলেন গাড়ি কেনার সময় ২০/৪/১০ নিয়ম মেনে গাড়ি কেনা উচিৎ। এখানে ২০-র অর্থ হল গাড়ির দামের অন্তত ২০ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট হিসাবে দিতে হবে। ৪ হল বাকি টাকা ৪ বছরের জন্য লোন হিসাবে নেওয়া যেতে পারে। আর সে ক্ষেত্রে যা ইএমআই হবে তা ক্রেতার মাসিক আয়ের ১০ শতাংশের মধ্যে হতে হবে।
অর্থাৎ, ৫ লক্ষ ১২ হাজার টাকার গাড়ি কিনতে গেলে অন্তত ১ লক্ষ ২ হাজার ৪০০ টাকা ডাউন পেমেন্ট করতে হবে। আর তা হলে বাকি থাকবে ৪ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। আর সেই টাকা ৪ বছরের জন্য ঋণ হিসাবে নেওয়া হলে ইএমআই হবে ১০ হাজার ৪০০ টাকার মতো। আমাদের নিয়ম বলছে, ক্রেতার মাসিক আয়ের ১০ শতাংশ হবে ইএমআইয়ের টাকা। আর তেমন হলে একটি ৫ লক্ষ ১২ হাজার টাকার গাড়ি কিনতে চাইলে আপনার মাসিক আয় হতে হবে অন্তত ১ লক্ষ ৪ হাজার টাকা।
তবে, যিনি গাড়ি কিনছেন তাঁর উপর থাকা দায়ভার কম হলে এই নিয়মে কিছু পরিবর্তনের কথাও বলেন বিশেষজ্ঞরা। যেমন, ডাউন পেমেন্ট দেওয়ার ক্ষমতা বেশি হলে সেটা বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করে দেওয়া যায়। প্রয়োজনে ৫ বছরের সুদ নেওয়া যেতে পারে। আর অন্য কোনও ঋণ না থাকলে মাসিক আয়ের ৩০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে আপনার ইএমআই। আর ৫ লক্ষ ১২ হাজারের গাড়ি কেনার জন্য সে ক্ষেত্রে ২৫ হাজার টাকা মাসিক আয় হলেই হয়ে যাবে।