নয়া দিল্লি: স্কুল-কলেজে ভর্তি থেকে ব্যাঙ্কের গুরুত্বপূর্ণ কাজ-সব জায়গাতেই প্রয়োজন আধার কার্ডের। কেওয়াইসি ডকুমেন্ট আপডেট না থাকলে, সরকারি ভাতা যেমন পাওয়া যায় না, তেমনি কোনও কল্য়াণমূলক প্রকল্পেও আবেদন করতে পারেন না। বর্তমানে ভারতীয় নাগরিকদের পরিচয়পত্র হয়ে উঠেছে আধার কার্ড, কারণ আধার কার্ডে নাগরিকের পুরো নাম, স্থায়ী ঠিকানা, জন্মতারিখ সহ ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন নম্বর থাকে। তবে শুধু প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যই নয়, শিশুদেরও আধার কার্ড হয়। এটি বাল আধার নামে পরিচিত। নবজাতকদের নাম-পরিচয় নথিভুক্ত করবেন কী করে, জানেন?
আধারের নিয়ামক সংস্থা ইউআইডিএআই (UIDAI)-র ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, বাল আধার হল শিশুদের আধার কার্ড। নীল রঙের এই নথি শিশুদের পরিচয়পত্র হিসাবে ব্যবহার করা হয়। পাঁচ বছর অবধি এই নথি আধার কার্ড হিসাবে ব্যবহার করা হয়। পরে সন্তানের পাঁচ বছর হলে, বায়োমেট্রিক তথ্য আপডেট করা হয়।
আধার আইন ২০১৬-র ৩(১) ধারা অনুযায়ী, দেশের প্রত্যেক নাগরিকের আধার নম্বর থাকা বাধ্যতামূলক। শিশুরাও এর ব্য়তিক্রম নয়। যেহেতু পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের বায়োমেট্রিক সংগ্রহ করা সম্ভব নয়, তাই বাল আধার তৈরি করা হয়। এই আধার কার্ড অভিভাবকের আধার কার্ডের সঙ্গে লিঙ্ক করা থাকে। পাঁচ বছর পার করলে তখন শিশুদের হাতের ছাপ, আইরিশ ও ছবি তুলে তথ্য আপডেট করা হয়।
অনলাইনে বুকিং করতে চাইলে-
শিশুর জন্ম সার্টিফিকেট
অভিভাবকের পরিচয়ের জন্য আপনার আধার কার্ড
ঠিকানার প্রমাণ হিসাবে রেশন কার্ড বা ইলেকট্রিসিটি বিল
শিশুর দুটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।