Health Insurance: মুহূর্তেই হবে ক্লেম সেটেলমেন্ট, Mediclaim নিয়ে নয়া নিয়ম নিয়ে আসছে কেন্দ্রীয় সরকার
Health Insurance: সাধারণ মানুষকে বিড়ম্বনার হাত থেকে রক্ষা করতে ২০২২ সালেই আসরে নেমেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ২০৪৭ সালের মধ্যে দেশের সব মানুষকেই মেডিক্লেমের আওতার মধ্যে নিয়ে আসার ঘোষণা করেছে তারা।

প্রতিটা মানুষ জীবনে সব কিছুতেই সুরক্ষা খোঁজে। সে চাকরির ক্ষেত্রে হোক বা অন্য কিছুতেই হোক। আর এই সুরক্ষার দিকে নজর দিতে গিয়ে বেশিরভাগ মানুষই তাদের স্বাস্থ্য ও পরিবারের মানুষের অর্থনৈতিক সুরক্ষার কথা খেয়াল করতে পারে না। ফলে, পরিবারের জন্য মেডিক্লেম ও নিজের জন্য টার্ম ইনসিওরেন্স নেওয়ার ক্ষেত্রে গড়িমসি করে মানুষ। আর সাধারণ মানুষকে এই বিড়ম্বনার হাত থেকে রক্ষা করতে ২০২২ সালেই আসরে নেমেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ঘোষণা করেছে, ২০৪৭ সালের মধ্যে দেশের সব মানুষকেই মেডিক্লেমের আওতার মধ্যে নিয়ে আসবে তারা।
এই পরিকল্পনার অধীনে কেন্দ্র সরকার এবার নয়া একটি নীতি নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছে। ১ ঘণ্টার মধ্যে যাতে বিমা সংস্থাগুলো ক্যাশলেস ক্লেম প্রসেস করে তার জন্য প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা করছে কেন্দ্র। এই পরিকল্পনায়, ৩ ঘন্টার মধ্যে যাতে ফাইনাল ক্লেম সেটেলমেন্টের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়, সেটাও চেষ্টা করছে কেন্দ্র।
কেন্দ্র একটি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করতে পারে, যারা ইনসিওরেন্সের ক্লেম ও অ্যাপ্লিকেশন ফর্মের কাঠামো আরও সহজ করে দেবে। যাতে খুব সহজেই গ্রাহকরা এই ফর্ম ফিলআপ করতে পারে। ও স্বাস্থ্য বিমার ক্লেম সেটেলমেন্ট খুব দ্রুত হয়ে যায়। সূত্রের খবর, বিমার সেক্টরের সংস্থাগুলোকে এক সুতোয় বাঁধতে BIS-এর মতো কোনও স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করার কথা ভাবছে কেন্দ্র।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের জুলাই মাসের তথ্য অনুযায়ী ন্যাশনাল হেলথ ক্লেমস এক্সচেঞ্জে (NHCX) ৩৪টি বিমাকারী সংস্থা ও থার্ড পার্টি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর (যে সব সংস্থা বিমা সংস্থার হয়ে ক্লেম প্রসেস, নথিভুক্তিকরণের মতো অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কাজগুলো করে তাদের থার্ড পার্টি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বলে। এরা গ্রাহক ও বিমা সংস্থার মধ্যে মাধ্যম হিসাবে কাজ করে) রয়েছে। আমাদের দেশে ২৬টি জেনারেল ইনসিওরেন্স সংস্থা রয়েছে। ২টি বিশেষ বিমা সংস্থা ও ৭টি স্বাস্থ্য বিমা সংস্থা রয়েছে। এ ছাড়াও দেশে অন্তত ২ লক্ষ হাসপাতালও রয়েছে।
