নয়া দিল্লি: সরকারি ক্ষেত্রের উদ্যোগ কোল ইন্ডিয়া লিমিটেড (সিআইএল) শনিবার জানিয়েছে যে অ-শক্তি ক্ষেত্রকে তারা এখন প্রতিদিন প্রায় ৩.৪ লক্ষ টন কয়লা সরবরাহ করছে, যা এই ক্ষেত্রের জন্য কোম্পানির তরফে গড়পরতা সরবারাহ। সিআইএল জানিয়েছে যে এই ক্ষেত্রের সরবরাহ বাড়ানোর জন্য তাদের কাছে কয়লার পর্যাপ্ত বাফার ভাণ্ডার রয়েছে আর অ-শক্তি ক্ষেত্রের জন্য কয়লার কোনও অভাব নেই। আসলে সম্প্রতিই ট্রেড ইউনিয়ন অভিযোগ করেছিল যে দেশে অ-শক্তি ক্ষেত্রে কয়লার সমস্যা রয়েছে আর বেশকিছু পাওয়ার প্লান্ট বন্ধ হওয়ার দোড়গোড়ায় রয়েছে। ইস্পাত আর অ্যালুমিনিয়ম সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ব্যবহারের পাওয়ার প্ল্যান্টে ইন্ধনের অভাবের খবরের মধ্যেই সিআইএলের এই বয়ান গুরুত্বপূর্ণ।
বিদেশি বাজারে দাম বাড়ায় আমদানির উপর প্রভাব
অ-শক্তি ক্ষেত্র (এনপিএস) একটি অর্থবর্ষে ঘরোয়া কয়লার সঙ্গে মিশ্রণের জন্য প্রায় ১৭ কোটি টন কয়লা আমদানি করে। কিন্তু চলতি অর্থবর্ষে আন্তর্জাতিক স্তরে কয়লার দাম বাড়ায় প্রয়োজনীয় মাত্রায় কয়লার আমদানি করা মুশকিল হয়েছে যার ফলে কয়লার অভাবের সমস্যার মুখোমুখী হতে হয়েছে। সিআইএল একটি বয়ানে বলেছে, ‘কোল ইন্ডিয়া চলতি অর্থবর্ষে এপ্রিল থেকে জানুয়ারির মধ্যে এনপিএসকে ১০.১৭ কোটি টন কয়লা সরবরাহ করেছে যা ২০১৯-২০-তে মহামারীর আঘের সময়ের ৯.৪ কোটি টন থেকে ৮.২ শতাংশ বেশি।’ এই সময়সীমায়, শক্তি ক্ষেত্রের সরবরাহের তুলনায় অ-শক্তি ক্ষেত্রের গ্রাহকদের সরবরাহে বৃদ্ধি অনেক বেশি হারে হয়েছে। কোম্পানি জানিয়েছে, ‘অ-শক্তি ক্ষেত্রের সরবরাহ বাড়াতে সিআইএলের কাছে পর্যাপ্ত বাফার ভান্ডার রয়েছে। কয়লার প্রাপ্যতা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই।’
৯ শতাংশ বেড়েছে ঘরোয়া উৎপাদন
কয়লা ক্ষেত্রের উন্নতিতে ইন্ধনের ঘরোয়া উৎপাদন ৯.০১ শতাংশ বেড়েছে। সবমিলিয়ে চলতি অর্থবর্ষে নভেম্বর পর্যন্ত কয়লার উৎপাদন বেড়ে ৪৪.৭৫৪ কোটি টন হয়েছে যা ২০১৯-২০-র একই সময়সীমায় ছিল ৪১.০৫৫ কোটি টন। বয়ানে বলা হয়েছে যে অর্থবর্ষ ২০২০-২১-কে তুলনা বর্ষ হিসেবে দেখা হয়নি। এর কারণ কোভিড মহামারীর নিয়ন্ত্রণের জন্য জারি নিষেধাজ্ঞায় শিল্প উৎপাদন দারুণভাবে প্রভাবিত হওয়া। বয়ানে বলা হয়েছিল, ‘কয়লার ঘরোয়া উৎপাদন বাড়ায় বিদ্যুতের চাহিদা বাড়া সত্ত্বেও এই ইন্ধনের আমদানি উল্লেখযোগ্যভাবে কম হয়েছে।’ কয়লা নির্ভর বিদ্যুতকেন্দ্রের উৎপাদন নভেম্বর ২০২১ এ ৬৭১.৯১ হাজার ইউনিট ছিল। এটি ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে উৎপাদিত ৬৩৮.৮১ হাজার ইউনিটের তুলনায় ৫.১৭ শতাংশ বেশি। আমদানিকৃত কয়লা থেকে উৎপন্ন বিদ্যুৎ, ২০১৯ এ এপ্রিল নভেম্বর পর্যন্ত ৬১.৭৮ হাজার ইউনিট ছিলয এটি ২০২১-২২ এর একই সময়সীমায় ৫১.৩৮ শতাংশ কমে হয়েছিল ৩০.০৪ হাজার ইউনিট। সমস্ত স্তরের নন-কোকিং কয়লার আমদানি চলতি অর্থবর্ষে এপ্রিল থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ১৮.৩৬ শতাংশ কমে ১০.৭৪ কোটি টন হয়েছে যা ২০১৯-২০-র এই সময়সীমায় ছিল ১৩.১৫ কোটি টন। সবমিলিয়ে কয়লার আমদানি আলোচ্য সময়সীমার প্রায় ১১.১৩ শতাংশ কমে হয়েছে ১৪.৭১ কোটি টন।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
নয়া দিল্লি: সরকারি ক্ষেত্রের উদ্যোগ কোল ইন্ডিয়া লিমিটেড (সিআইএল) শনিবার জানিয়েছে যে অ-শক্তি ক্ষেত্রকে তারা এখন প্রতিদিন প্রায় ৩.৪ লক্ষ টন কয়লা সরবরাহ করছে, যা এই ক্ষেত্রের জন্য কোম্পানির তরফে গড়পরতা সরবারাহ। সিআইএল জানিয়েছে যে এই ক্ষেত্রের সরবরাহ বাড়ানোর জন্য তাদের কাছে কয়লার পর্যাপ্ত বাফার ভাণ্ডার রয়েছে আর অ-শক্তি ক্ষেত্রের জন্য কয়লার কোনও অভাব নেই। আসলে সম্প্রতিই ট্রেড ইউনিয়ন অভিযোগ করেছিল যে দেশে অ-শক্তি ক্ষেত্রে কয়লার সমস্যা রয়েছে আর বেশকিছু পাওয়ার প্লান্ট বন্ধ হওয়ার দোড়গোড়ায় রয়েছে। ইস্পাত আর অ্যালুমিনিয়ম সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ব্যবহারের পাওয়ার প্ল্যান্টে ইন্ধনের অভাবের খবরের মধ্যেই সিআইএলের এই বয়ান গুরুত্বপূর্ণ।
বিদেশি বাজারে দাম বাড়ায় আমদানির উপর প্রভাব
অ-শক্তি ক্ষেত্র (এনপিএস) একটি অর্থবর্ষে ঘরোয়া কয়লার সঙ্গে মিশ্রণের জন্য প্রায় ১৭ কোটি টন কয়লা আমদানি করে। কিন্তু চলতি অর্থবর্ষে আন্তর্জাতিক স্তরে কয়লার দাম বাড়ায় প্রয়োজনীয় মাত্রায় কয়লার আমদানি করা মুশকিল হয়েছে যার ফলে কয়লার অভাবের সমস্যার মুখোমুখী হতে হয়েছে। সিআইএল একটি বয়ানে বলেছে, ‘কোল ইন্ডিয়া চলতি অর্থবর্ষে এপ্রিল থেকে জানুয়ারির মধ্যে এনপিএসকে ১০.১৭ কোটি টন কয়লা সরবরাহ করেছে যা ২০১৯-২০-তে মহামারীর আঘের সময়ের ৯.৪ কোটি টন থেকে ৮.২ শতাংশ বেশি।’ এই সময়সীমায়, শক্তি ক্ষেত্রের সরবরাহের তুলনায় অ-শক্তি ক্ষেত্রের গ্রাহকদের সরবরাহে বৃদ্ধি অনেক বেশি হারে হয়েছে। কোম্পানি জানিয়েছে, ‘অ-শক্তি ক্ষেত্রের সরবরাহ বাড়াতে সিআইএলের কাছে পর্যাপ্ত বাফার ভান্ডার রয়েছে। কয়লার প্রাপ্যতা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই।’
৯ শতাংশ বেড়েছে ঘরোয়া উৎপাদন
কয়লা ক্ষেত্রের উন্নতিতে ইন্ধনের ঘরোয়া উৎপাদন ৯.০১ শতাংশ বেড়েছে। সবমিলিয়ে চলতি অর্থবর্ষে নভেম্বর পর্যন্ত কয়লার উৎপাদন বেড়ে ৪৪.৭৫৪ কোটি টন হয়েছে যা ২০১৯-২০-র একই সময়সীমায় ছিল ৪১.০৫৫ কোটি টন। বয়ানে বলা হয়েছে যে অর্থবর্ষ ২০২০-২১-কে তুলনা বর্ষ হিসেবে দেখা হয়নি। এর কারণ কোভিড মহামারীর নিয়ন্ত্রণের জন্য জারি নিষেধাজ্ঞায় শিল্প উৎপাদন দারুণভাবে প্রভাবিত হওয়া। বয়ানে বলা হয়েছিল, ‘কয়লার ঘরোয়া উৎপাদন বাড়ায় বিদ্যুতের চাহিদা বাড়া সত্ত্বেও এই ইন্ধনের আমদানি উল্লেখযোগ্যভাবে কম হয়েছে।’ কয়লা নির্ভর বিদ্যুতকেন্দ্রের উৎপাদন নভেম্বর ২০২১ এ ৬৭১.৯১ হাজার ইউনিট ছিল। এটি ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে উৎপাদিত ৬৩৮.৮১ হাজার ইউনিটের তুলনায় ৫.১৭ শতাংশ বেশি। আমদানিকৃত কয়লা থেকে উৎপন্ন বিদ্যুৎ, ২০১৯ এ এপ্রিল নভেম্বর পর্যন্ত ৬১.৭৮ হাজার ইউনিট ছিলয এটি ২০২১-২২ এর একই সময়সীমায় ৫১.৩৮ শতাংশ কমে হয়েছিল ৩০.০৪ হাজার ইউনিট। সমস্ত স্তরের নন-কোকিং কয়লার আমদানি চলতি অর্থবর্ষে এপ্রিল থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ১৮.৩৬ শতাংশ কমে ১০.৭৪ কোটি টন হয়েছে যা ২০১৯-২০-র এই সময়সীমায় ছিল ১৩.১৫ কোটি টন। সবমিলিয়ে কয়লার আমদানি আলোচ্য সময়সীমার প্রায় ১১.১৩ শতাংশ কমে হয়েছে ১৪.৭১ কোটি টন।