Coal Mines Auction: এখনও পর্যন্ত ৪২টি খনির নিলাম সম্পূর্ণ, এই সপ্তাহে ৫ রাজ্যের ১০টি খনির নিলাম: কয়লা মন্ত্রক

Coal Mines Auction: কয়লা মন্ত্রক একটি বায়ন জারি করে জানিয়েছে যে নিলামের তৃতীয় কিস্তিতে পাঁচ রাজ্যের ১০টি কয়লা খনির সফলভাবে নিলাম করা হয়েছে।

Coal Mines Auction: এখনও পর্যন্ত ৪২টি খনির নিলাম সম্পূর্ণ, এই সপ্তাহে ৫ রাজ্যের ১০টি খনির নিলাম: কয়লা মন্ত্রক
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 13, 2022 | 7:59 PM

নয়া দিল্লি: দেশে কয়লার ক্রমবৃদ্ধিমান চাহিদা দূর করার জন্য সরকার খনির নিলাম প্রক্রিয়া লাগাতার বাড়িয়ে চলেছে। কয়লা মন্ত্রক জানিয়েছে যে খনিগুলিতে ব্যবসায়িক খননের জন্য এখনও পর্যন্ত মোট ৪২টি কয়লা ব্লকের নিলাম করা হয়েছে। এর মধ্যে এই সপ্তাহে নিলামের তৃতীয় কিস্তিতে ১০টি কয়লা খনির নিলাম করা হয়েছে। সম্প্রতি পেশ করা অর্থনৈতিক সমীক্ষায় পরিস্কার বলা হয়েছিল যে সরকারের গ্রীন এনার্জির উপর জোর দেওয়ার পরও বর্তমানে কয়লার উপর অর্থনীতির নির্ভরতা বজায় থাকবে আর ২০৩০ সাল পর্যন্ত দেশে কয়লার চাহিদা ১.৩ থেকে ১.৫ হাজার কোটি টনের মধ্যে থাকবে। এই চাহিদা দূর করার জন্য আর আমদানির বিল নিয়ন্ত্রণ করতে সরকার কয়লার ঘরোয়া উৎপাদন বাড়াতে চেষ্টা করছে।

এই সপ্তাহে ১০টি খনির ব্যবসায়িক নিলাম

কয়লা মন্ত্রক একটি বায়ন জারি করে জানিয়েছে যে নিলামের তৃতীয় কিস্তিতে পাঁচ রাজ্যের ১০টি কয়লা খনির সফলভাবে নিলাম করা হয়েছে। যেগুলির সংযুক্ত কয়লা ভাণ্ডার ক্ষমতা ১৭১.৬২১ কোটি টন হওয়ার আশা রয়েছে। এর সঙ্গেই এখনও পর্যন্ত ৪২টি কয়লা খনির নিলাম হয়েছে। কয়লা মন্ত্রক ১২ অক্টোবর ২০২১ এ সিএমএসপি আইের ১৩তম অধ্যায় তথা এমএমডিআর নিয়মের তৃতীয় অধ্যায়ের অন্তর্গত বাণিজ্যিক খননের জন্য কয়লা খনিগুলির নিলাম শুরু করেছিল। এই সপ্তাহে হওয়া ১০টি খনির মধ্যে ১০টিতে অনুসন্ধান সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে অন্যদিকে একটিতে আংশিক অনুসন্ধান হয়েছে। এই খনিগুলো রয়েছে অরুণাচল প্রদেশ, অসম, ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্র, ওড়িশায়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪টি খনি ওড়িশায় রয়েছে। নিলামে এই খনিগুলির মালিকানা পেয়েছে ডালমিয়া সিমেন্ট, হিন্ডালকো, জিন্দাল স্টিল।

কয়লার চাহিদা বাড়ার অনুমান

সরকার লাগাতার গ্রিন এনার্জির ওপর জোর দিচ্ছে, তবে অর্থনীতির আকার বাড়ার সঙ্গে কয়লার চাহিদায় গতি আসার অনুমান করা হচ্ছে। অর্থনৈতিক সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০৩০ পর্যন্ত দেশে কয়লার চাহিদা ১.৫ হাজার টনে পৌঁছতে পারে। অন্যদিকে কয়লা মন্ত্রক এই সপ্তাহে একটি বয়ানে বলেছিল, ‘সরকার দেশে কয়লা উৎপাদনকে আরও বাড়াতে যথাসম্ভব প্রয়াস করছে। অতিরিক্ত কয়লার সুলভতার কারণে জীবাশ্ম ইন্ধনের আমদানি কম হবে।’ কয়লা ক্ষেত্রের উন্নতিতে ইন্ধনের ঘরোয়া উৎপাদন ৯.০১ শতাংশ বেড়েছে। সবমিলিয়ে চলতি অর্থবর্ষে নভেম্বর পর্যন্ত কয়লার উৎপাদন বেড়ে ৪৪.৭৫৪ কোটি টন হয়েছে যা ২০১৯-২০-র একই সময়সীমায় ছিল ৪১.০৫৫ কোটি টন। বয়ানে বলা হয়েছে যে অর্থবর্ষ ২০২০-২১-কে তুলনা বর্ষ হিসেবে দেখা হয়নি। এর কারণ কোভিড মহামারীর নিয়ন্ত্রণের জন্য জারি নিষেধাজ্ঞায় শিল্প উৎপাদন দারুণভাবে প্রভাবিত হওয়া। বয়ানে বলা হয়েছিল, ‘কয়লার ঘরোয়া উৎপাদন বাড়ায় বিদ্যুতের চাহিদা বাড়া সত্ত্বেও এই ইন্ধনের আমদানি উল্লেখযোগ্যভাবে কম হয়েছে।’

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা