
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মুকেশ অম্বানীর বৈঠক সংক্রান্ত সমস্ত জল্পনা উড়িয়ে দিল রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ। সংবাদসংস্থা ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস সূত্রে খবর, ১২ সেপ্টেম্বর একটি বৈঠক হওয়ার কথা শোনা গিয়েছিল। যদিও রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ এমন কোনও বৈঠকের খবর সরাসরি অস্বীকার করেছে। এই খবরের পিছনে রয়েছে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্কের এক তীব্র টানাপোড়েন। আর এই সম্পর্কের ঠিক কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে রাশিয়া থেকে ভারতের তেল কেনা।
পরিসংখ্যান বলছে, ২০২১ সালে রিলায়েন্সের জামনগর তেল শোধনাগারে পরিশোধন হওয়া তেলে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের ছিল মাত্র ৩ শতাংশ। ২০২৩ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে গড়ে ৫০ শতাংশে। চলতি বছরের প্রথম সাত মাসেই রিলায়েন্স ৮.৭ বিলিয়ন ডলারের রুশ তেল আমদানি করেছে। পরিমাণের অঙ্কে যা গত বছরের তুলনায় ৬৪ শতাংশ বেশি। আর এই পদক্ষেপের কারণেই ভারতের বিরুদ্ধেই সুর চড়িয়েছেন ট্রাম্প। এর জেরেই ভারতীয় পণ্যের উপর ৫০ শুল্ক চাপিয়েছেন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট।
একদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতকে রাশিয়ার ‘সবচেয়ে বড় ক্রেতা’ বলে সমালোচনা করছেন। অন্যদিকে, ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, দেশের স্বার্থে রাশিয়া থেকে তেল কেনা চালিয়ে যাওয়া হবে। তাঁর মতে, ভারত তার বৈদেশিক মুদ্রার একটি বড় অংশ তেল কিনতেই খরচ করে।
এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল জানিয়েছেন, নভেম্বরের মধ্যে আমেরিকার সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কেন্দ্র। একদিকে শুল্কের চাপ ও কূটনৈতিক সংঘাত, আর অন্যদিকে বাণিজ্য চুক্তির প্রচেষ্টা। এই দুই বিপরীত পরিস্থিতির মধ্যে ভারত কীভাবে ভারসাম্য বজায় রাখে, সেদিকেই নজর রেখেছে বিশেষজ্ঞমহল।