
নয়া দিল্লি: চলতি মাসের শুরুতেই ওড়িশার বালেশ্বরে নেমে এসেছিল বিপর্যয়। বালেশ্বরের বাহানগায় মালগাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষ হয় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের (Coromandel Express Accident)। ধাক্কা লাগে ডাউন যশবন্তপুর এক্সপ্রেসের সঙ্গেও। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় ২৮৮ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়। আহত হন ৯০০-রও বেশি যাত্রী। মৃতদের মধ্যে অধিকাংশই পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার বাসিন্দা ছিলেন। কেন্দ্র, রেল মন্ত্রক, দুই রাজ্য সরকারের তরফেই নিহত ও আহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছিল। এবার এলআইসির তরফেও নিহতদের ক্ষতিপূরণ মিটিয়ে দেওয়া হল। গত শনিবারই এলআইসি (LIC) সংস্থার তরফে জানানো হয়, ওড়িশার নিহত যাত্রীদের মধ্যে মাত্র ১৬ জনের এলআইসি করা ছিল। বিমার অঙ্ক ও অ্যাক্সিডেন্টাল বেনেফিট (Accidental Benefit) মিলিয়ে মোট ৪৮ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। করমণ্ডলের দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারের মধ্য়ে যারা এখনও বিমার টাকা পাননি, তা কীভাবে পাবেন, তার সহজ পদ্ধতিও ব্য়াখ্যা করা হয়েছে।
এলআইসির তরফে জানানো হয়েছে, করমণ্ডল দুর্ঘটনায় ওড়িশার যে সকল যাত্রীর মৃত্য়ু হয়েছে, তাদের মধ্যে মাত্র ১৬ জন এলআইসির বিমার ক্লেম করেছেন। তাদের বিমার মোট অঙ্ক ছিল ২৪.৭ লক্ষ। এলআইসির বিমায় লগ্নিকারী কোনও ব্যক্তির যদি বিমার মেয়াদ থাকাকালীন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়, তবে অ্যাক্সিডেন্টাল বেনেফিটও পাওয়া যায়। সেই বেনেফিট মিলিয়েই ৪৮ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে এলআইসির তরফে।
করমণ্ডল দুর্ঘটনায় মৃতদের মধ্যে যারা এখনও এলআইসির কাছ থেকে বিমার টাকা পাওয়ার জন্য আবেদন করেননি, তারা কীভাবে আবেদন করবেন, সে সম্পর্কেও ব্যাখ্য়া দেওয়া হয়েছে। এলআইসির তরফে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনায় মৃতদের শংসাপত্র বা ডেথ সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। যদি কারোর কাছে এখনও ডেথ সার্টিফিকেট না থাকে, তবে রেলওয়ে, পুলিশ, রাজ্য় বা কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকাশিত মৃতের তালিকা জমা দিলেও তা ডেথ শংসাপত্র হিসাবে গণ্য করা হবে।