বর্তমান সময় দেশ প্লাস্টিক ইকোনমিকে যতটা আপন করে নিচ্ছে, ক্রেডিট ও ডেবিটা কার্ডের ব্যবহার ততই বাড়ছে। ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড সঙ্গে থাকলে নগদ টাকা ব্যবহার করার কোনএ ঝঞ্ঝাট নেই, ইচ্ছামতো ব্যবহার করে কেনাকাটা করতেও লাগে নগদ টাকা। সেই ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের নিয়মে ১ অক্টোবর থেকে বড় বদল আসতে চলেছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার কার্ড অন ফাইল টোকেনাইজেশনের নিয়মে বড় বদল আসতে চলেছে। আরবিআইয়ের সিওএফ টোকেনাইজেশন কার্ড গ্রাহকদের লেনদেন অনেকটাই সুবিধা করবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই নিয়ম ১ জুলাই থেকে চালু হওয়ার কথা থাকলেও ৩০ সেপ্টেম্বর অবধি মেয়াদ বৃ্দ্ধি করা হয়েছিল। বেশিরভাগ বড় ব্যবসায়ীরা আরবিআইয়ের কার্ড অন ফাইল টোকেনাইজেশনের নিয়মে বদল এনেছে। এখনও অবধি ১৯ কোটি ৫০ লক্ষ টোকেন ইস্যু করাও হয়ে গিয়েছে।
নতুন নিয়ম
বিভিন্ন ব্যবসায়িক ওয়েবসাইটের গ্রাহকদের কার্ডের তথ্য সংরক্ষিত করার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। টোকেনাইজেশন বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। এই নিয়ম আগামী মাস থেকে চালু হবে। বিভিন্ন মার্চেন্ট ওয়েবসাইট কার্ডের নম্বর, মেয়াদের তারিখের মতো তথ্য সংরক্ষণ করে রাখত। কারণ এতে কার্ডের তথ্য চুরি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যাবে।
টোকেনাইজেশন কী?
স্পর্শকাতর তথ্যকে অ-স্পর্শকাতর তথ্য পরিবর্তনের প্রক্রিয়াকেই বলে টোকেনাইজেশন। এই পদ্ধতিতে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের নম্বর ডিজিটাল ক্রেডেনশিয়ালে পরিবর্তিত হয় যা কোনও ভাবে চুরি বা পুনর্ব্যবহার করা সম্ভব নয়। এই টোকেনে গ্রাহকদের কার্ডের তথ্য সিস্টেমে আগে সংরক্ষিত থাকত। নতুন নিয়মে তা আর সংরক্ষণ করে রাখা যাবে না। ফলে গ্রাহকদের কষ্টের উপার্জন সুরক্ষিত থাকবে।
গ্রাহকদের ওপর প্রভাব
কোনও মার্চেন্ট ওয়েবসাইট গ্রাহকদের কার্ডের তথ্য সংরক্ষণ করে রাখতে পারবে না। ধরে নেওয়া যাক কোনও গ্রাহক কোনও ই-কমার্স ওয়েবসাইট থেকে কেনাকাটা করছেন, তাদের ১৬ সংখ্যার কার্ড নম্বরের পাশাপাশি ৩ সংখ্যার সিভিভি কোড দাখিল করতে বলা হত। সেই ওয়েবসাইট থেকে আবার কেনাকাটার করার সময় গ্রাহকরা দেখতে পেতেন কার্ডের নম্বর সেখানে সংরক্ষিত রয়েছে। এখন থেকে এই তথ্য আর সংরক্ষিত থাকবে না, গ্রাহককে কেনাকাটা করতে হলে কার্ডের নম্বর পুনরায় দাখিল করতে হবে।