
ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে একাধিক অফার। আর সেই অফারের মধ্যে হু হু বাড়ছে কেনাকাটা। তবে শুধু সাধারণ প্রয়োজনের কেনাকাটা নয়। সাধারণ মানুষ এই অফারের মধ্যে একাধিক এমন জিনিস কিনছেন যা আসলে তাঁদের প্রয়োজনের বাইরে। বা আরও ভাল করে বললে মানুষ এই ধরনের অফারের সময় শখ মেটানোর জিনিসপত্র কেনে। আর এই কেনাকাটার বেশিরভাগটাই হয় ক্রেডিট কার্ডের সাহায্যে। আর ক্রেডিট কার্ডে রয়েছে ইএমআইয়ের সুবিধা যা এই ধরনের অফারকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। কিন্তু এই সুবিধার ফাঁদে পা দেওয়ার আগে আপনার একাধিক বিষয়ে বিশদে জানা জরুরি।
ইএমআই আপনি করতে পারেন আপনার ব্যাঙ্কের মাধ্যমে। বা আপনি কোনও লোন নিয়ে মাসিক কিস্তির মাধ্যমে সেই লোন মেটাতে পারেন। কিন্তু আপনার যদি ক্রেডিট কার্ড থাকে তাহলে এই ধরনের ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এ ছাড়াও লোনের থেকে কম সুদে ক্রেডিট কার্ডের ইএমআই কাজ করে। কেউ যদি একটা অনেক বেশি দামের পণ্য কেনেন, আর তার উপর ইএমআই পেমেন্ট নেন, তাহলে তাঁকে প্রতি মাসে অনেক কম টাকা খরচ করতে হবে।
আসলে আপনি কোনও কিছু কেনার সময় ইএমআই অপশন সিলেক্ট করলে আপনার ব্যাঙ্ক বা ক্রেডিট কার্ড সংস্থা সঙ্গে সঙ্গে সেই পণ্যের টাকা মিটিয়ে দেয়। আর তারপরই আপনার কার্ডের ওই টাকা ব্লক করে দেয় সংস্থা। পরে সুদ সহ আপনার থেকে সেই টাকা ছোট ছোট ভাগে নিয়ে নেয় ক্রেডিট কার্ড সংস্থা।
প্রতিটি ব্যাঙ্কের একটি ন্যূনতম ক্রয়ের সীমা থাকে। তার কমের কেনাকাটায় ইএমআই করা যায় না।
আপনি নিজের সুবিধা অনুযায়ী ৩ মাসের থেকে ২৪ মাস, যে কোনও সময়ের ইএমআই করতে পারেন।
উৎসবে বা একাধিক অফারের সময় অনেক সময় ‘নো-কস্ট ইএমআই’ পাওয়া যায়। তবে, যে কোনও ইএমআইতে কিন্তু একটি প্রসেসিং ফি এবং নির্দিষ্ট হারে সুদ দিতেই হয়। কিছু ক্ষেত্রে সেটা আপনি যেখান থেকে পণ্য কিনছেন তারা দিয়ে দে, আবার কোনও ক্ষেত্রে আপনার কার্ড থেকেই সেই তাকা কাটা হয়।
যদি নো-কস্ট ইএমআই পান অথবা আপনার আয়ের ওপর চাপ না দিয়ে একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে চান, তবে অবশ্যই ইএমআইয়ের সুবিধা নিন।
কিন্তু সুদের হার যদি খুব বেশি হয় অথবা আপনার মাসিক উপার্জন দিয়ে কিস্তির টাকা মেটানো অসম্ভব মনে হয়, তবে এখন কিন্তু ইএমআইয়ের দিকে হাঁটবেন না।ফাইনান্সিয়াল অ্যাডভাইজাররা সতর্ক করছেন, অতিরিক্ত ইএমআই আপনার আর্থিক ভবিষ্যতকে বিপদে ফেলতে পারে। সময়মতো কিস্তি না মেটালে আইনি জটিলতা এবং জরিমানা হতেই পারে।