
কোন উপায়ে এড়াবেন জালিয়াতি?Image Credit source: Getty Images
ডিজিটাল লেনদেন এখন তুঙ্গে, আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রতারণার ঝুঁকি। স্ক্যামাররা এখন নিত্যনতুন উপায়ে নিরীহ গ্রাহকদের ফাঁদে ফেলছে। মুহূর্তের মধ্যে খালি হয়ে যাচ্ছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। এই পরিস্থিতিতে ক্রেডিট কার্ড সুরক্ষিত রাখাটাই সবচেয়ে জরুরি। মনে রাখবেন, ক্রেডিট কার্ড আসলে কাজ করে একটি ঋণের মতো। ফলে, আপনার CVV, PIN, OTP-এর মতো গোপন তথ্য রক্ষা করা আপনারই দায়িত্ব।
আপনার সুরক্ষার ৫টি মূল চাবিকাঠি
ক্রেডিট কার্ডের নিরাপত্তা বাড়াতে অবিলম্বে এই পদক্ষেপগুলি নিন:
- তাৎক্ষণিক সতর্কতা: প্রতিটি লেনদেনের জন্য রিয়েল-টাইম এসএমএস ও ইমেল সতর্কতা চালু রাখুন। বিল বা স্টেটমেন্ট দেখেই অননুমোদিত এন্ট্রি যাচাই করুন।
- গোপনীয়তা রক্ষা: ফোন বা ইমেলের মাধ্যমে আপনার CVV বা PIN কখনওই কারও সঙ্গে শেয়ার করবেন না।
- নিরাপদ ব্যবহার: শুধুমাত্র HTTPS:// যুক্ত নিরাপদ ওয়েবসাইট বা অ্যাপে কার্ড ব্যবহার করুন। পাবলিক Wi-Fi ব্যবহার করে লগইন করা থেকে বিরত থাকুন।
- নিয়মিত পরিবর্তন: প্রতি কয়েক মাস অন্তর আপনার কার্ডের PIN বদলান। ব্যাঙ্কের অ্যাপের সিকিওরিটি ফিফারগুলো আপডেট করে রাখুন
- টোকোনাইজেশন: অনলাইন পেমেন্টের জন্য টোকোনাইজেশন চালু করুন। এতে আপনার আসল কার্ড নম্বরের বদলে একটি সুরক্ষিত টোকেন ব্যবহৃত হয়, এই ব্যবস্থা জালিয়াতির ঝুঁকি অনেক কমিয়ে দেয়।
RBI কী বলছে?
কার্ডের সুরক্ষার জন্য শুধু আপনার সঠিক অভ্যাস নয়, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার নিয়মকানুনও জানা প্রয়োজন। আরবিআই জানায়, অননুমোদিত লেনদেন রিপোর্ট করার ক্ষেত্রে গ্রাহকদের কোনও দায়িত্বই নিতে হয় না, যদি তা দ্রুত জানানো হয়।
- মনে রাখবেন: ক্রেডিট কার্ড হারিয়ে গেলে বা সন্দেহজনক কিছু দেখলে এক মুহূর্তও দেরি না করে আপনার কার্ড ইস্যুকারী সংস্থাকে জানান। তারপর, কার্ডটি ব্লক করে দিন। যত দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন, আপনার আর্থিক স্বাস্থ্য তত সুরক্ষিত থাকবে।
দীর্ঘমেয়াদী অভ্যাস: ঋণ এবং স্কোর নিয়ন্ত্রণ
ক্রেডিট কার্ড মানেই অতিরিক্ত ব্যয়ের হাতছানি এবং বাড়তি সুদের ঝুঁকি। তাই সতর্ক থাকুন:
- ব্যক্তিগত তথ্য আলাদা: CVV বা PIN-এর ছবি বা তথ্য ফোনে কখনওই সেভ করে রাখবেন না।
- ক্রেডিট কার্ডের মোট সীমার ৩০ শতাংশের নিচে আপনার ব্যবহার রাখুন। এটি আপনার ক্রেডিট স্কোর ভালো রাখতে সাহায্য করবে।
- সময়মতো বিল দিন: শুধু মিনিমাম ডিউ না দিয়ে, সম্পূর্ণ বিল সময়মতো পরিশোধ করুন।
আর্থিক বিশেষজ্ঞদের মতে, টোকোনাইজেশন এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নিয়ম সম্পর্কে সচেতনতা; এই দুইয়ের সাহায্যে ডিজিটাল জালিয়াতির হাত থেকে আপনি অনেকটাই সুরক্ষিত থাকতে পারবেন।