
আপনার ফোনে একটা নোটিফিকেশন এল। একটা ক্লিকেই লোন রেডি। অর্থাৎ, আপনার কিছু কেনার না থাকলেও লোন পেয়ে কিছু কিনতেই পারেন আপনি। কিন্তু লোনের এই সহজলভ্যতাই কি আপনার রক্তচাপ বাড়াচ্ছে? আজ যাঁদের বয়স ২৫ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে, তাঁদের অনেকেই এই মুহূর্তে ডুবে রয়েছেন ঋণের ফাঁদে।
মুক্ত অর্থনীতি আমাদের কাজের সুযোগ দিয়েছে ঠিকই, কিন্তু একই সঙ্গে নিয়ে এসেছে ‘ইমপালসিভ বাইয়িং’-এর নেশা। আগে আমরা খরচের আগে ব্যাঙ্ক নোট গুণে, তারপর খরচ করতাম। কিন্তু এখন স্রেফ একটা ক্লিক করলেই হল। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে খরচ হয়ে যাবে টাকা। কত টাকা এই ভাবে খরচ হচ্ছে, তার কোনও হিসাব আপনার কাছে সব সময় থাকে না। এর জন্য আপনাকে খুঁজতে হবে ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট।
ডিজিটাল মায়া: ট্রাভেল এজেন্সি থেকে সোনার দোকান, সব ক্ষেত্রেই এখন লোন আপনার হাতের মুঠোয়।
আবেগ সরিয়ে যুক্তিনির্ভর কেনাকাটা বা ‘র্যাশনাল বাইং’-এ মন দিন। বিনিয়োগের সংজ্ঞা বদলেছে। শুধু ফিক্সড ডিপোজিট নয়, বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে এসআইপি বা মিউচুয়াল ফান্ডে জোর দিন। কৃপণতা করে সঞ্চয় নয় বরং মিতব্যায়ীতার মাধ্যমে সঞয়ের কথা বলেন বিশেষজ্ঞরা।
সামনে নতুন বছর। আপনার ‘নিউ ইয়ার রেজোলিউশন’ হোক এই পরিমিত ব্যয়। মনে রাখবেন, ধারের বোঝা আপনার দুশ্চিন্তা বাড়ায়। আর নিজের পুঁজি আপনাকে দেয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা। আপনার রাতের ঘুম খুব দামি, তাকে লোনের চিন্তায় বিকিয়ে দেবেন না।