
ডিজিটাল ইন্ডিয়া, নতুন ভারতের নতুন পরিচয়। কিন্তু ১৪০ কোটির দেশে ৯৯ শতাংশ এলাকায় পৌঁছে গিয়েছে ৪জি নেটওয়ার্ক। আবার ৮০ শতাংশের বেশি এলাকায় পৌঁছে গিয়েছে ৫জিও। কিন্তু তারপরও ভারতের সাধারণ মানুষের কাছে ইন্টারনেট এখনও সহজলভ্য নয়। অর্থাৎ, ডিজিটাল ইন্ডিয়া ও গ্রামীণ ভারত, এখনও একে অপরের কাছাকাছি আসতে পারেনি। আর সেখানেই তৈরি হয়েছে ব্যবধান।
গ্লোবাল সিস্টেম ফর মোবাইল কমিউনিকেশন অ্যাসোসিয়েশনের ডিরেক্টর জেনারেল বিবেক বদ্রীনাথ বলছেন, স্টারলিঙ্ক বা ওয়ানওয়েবের মতো সংস্থা স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ড পরিষেবা দিলেও তা আসলে ভারতের বর্তমান যে সমস্যা তার কোনও সুরাহা করতে পারবে না। কারণ, এই সংস্থাগুলো উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে উচ্চ গতি সম্পন্ন ইন্টারনেট দিলেও তা অনেক ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের হাতের নাগালের বাইরেই থাকবে, তাদের দামের কারণে। আর সেই কারণেই দেশের যে ৬৯ কোটি ভারতবাসীর কাছে ইন্টারনেট নেই, তারা ইন্টারনেটের আলোকবর্তিকার মধ্যে আসতে পারবেন না।
বদ্রীনাথ আরও বলছেন, দুই ভারতের মধ্যে ইন্টারনেটের ব্যবহারের ব্যবধান কমানোই আসল লক্ষ্য। আর সেই কারণেই মানুষ যাতে সস্তায় স্মার্টফোন হাতে পায় ও তা ব্যবহার করতে পারে, সে দিকেই নজর দেওয়া উচিত।
স্মার্টফোনের দাম: আমাদের দেশে মোবাইল ডেটার অনেকই কম। গোটা পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম সস্তায় ডেটা পাওয়া যায় আমাদের ভারতে। কিন্তু সমস্যা হল স্মার্টফোনের দামে।
ডিজিটাল সাক্ষরতা: ইন্টারনেট ব্যবহারে দক্ষতার অভাব ও ইন্টারনেট ও স্মার্টফোনে স্থানীয় ভাষার ব্যবহার কম হওয়ায় সাধারণ মানুষকে ইন্টারনেটের বৃত্তে নিয়ে আসতে বাধা তৈরি হচ্ছে। বদ্রীনাথ বলছেন এআই-চালিত ভয়েস-ভিত্তিক ইন্টারফেস এই ব্যবধান পূরণের করতে পারে।
প্রতারণার ভয়: বদ্রীনাথ ডিজিটাল জালিয়াতির ভয়কেও একটি কারণ হিসাবে তুলে ধরছেন। তথ্য বলছে, অন্তত ৫০ শতাংশ ভারতীয় অন্তত একবার অনলাইনে প্রতারিত হয়েছেন।