Digital KYC: লক্ষ লক্ষ মানুষ এই ভাবে কেওয়াইসি করতে পারছেন না, আপনি সমস্যায় পড়েননি তো?

Know Your Customer: আসলে যে সব মানুষরা বিশেষ ভাবে সক্ষম বা যাঁদের কোনও বিশেষ অসুস্থতা রয়েছে, তাঁদের জন্য এই ডিজিটাল কেওয়াইসি বিষয়টা বেশ সমস্যার হয়ে যাচ্ছে। ফলে সেই মানুষরা একাধিক পরিষেবা থেকে দূরে চলে যাচ্ছেন। আর সেটাই এই ডিজিটাল কেওয়াইসির একটা ব্ল্যাক স্পট।

Digital KYC: লক্ষ লক্ষ মানুষ এই ভাবে কেওয়াইসি করতে পারছেন না, আপনি সমস্যায় পড়েননি তো?
আপনারও KYC-তে সমস্যা নেই তো?Image Credit source: Getty Images

Dec 02, 2025 | 3:38 PM

ডিজিটাল কেওয়াইসি, ভারত সরকারের ডিজিটাল পদক্ষেপের মধ্যে অন্যতম হল এই ডিজিটাল কেওয়াইসি। বর্তমানে একাধিক ক্ষেত্রেই কিন্তু ডিজিটাল কয়চ করা হয়। ধরুন আপনি একটা লোন নেবেন বা কোনও কম্পিটিটিভ পরীক্ষার ফর্ম ফিলআপ করবেন। তাহলে কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই ডিজিটালি এই কেওয়াইসি হয়ে থাকে। আর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরও সেই ডিজিটাল কেওয়াইসিতে রয়ে গিয়েছে একাধিক সমস্যা।

আসলে যে সব মানুষরা বিশেষ ভাবে সক্ষম বা যাঁদের কোনও বিশেষ অসুস্থতা রয়েছে, তাঁদের জন্য এই ডিজিটাল কেওয়াইসি বিষয়টা বেশ সমস্যার হয়ে যাচ্ছে। ফলে সেই মানুষরা একাধিক পরিষেবা থেকে দূরে চলে যাচ্ছেন। আর সেটাই এই ডিজিটাল কেওয়াইসির একটা ব্ল্যাক স্পট। লক্ষ লক্ষ মানুষ সমাজের মূল স্রোত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছেন এই কারণেই।

ডিজিটাল কেওয়াইসির ব্যর্থতা

  • লাইভনেস চেক: অনেক ক্ষেত্রে ডিজিটাল কেওয়াইসি করার জন্য ক্যামেরার দিকে চেয়ে স্থির হয়ে তাকিয়ে থাকতে হয় বা চোখ পিটিপিটি করতে হয়। কিন্তু যে সব মানুষদের চোখের সমস্যা রয়েছে বা যাঁদের নিজেদের নার্ভের উপর কন্ট্রোল নেই, তাঁদের জন্য এই বিষয়টা একপ্রকার অসম্ভব।
  • অসহায়ক প্রযুক্তির অভাব: ই-কেওয়াইসি অ্যাপ্লিকেশনগুলি স্ক্রিন রিডার বা ভয়েস কমান্ডের সঙ্গে কাজ করে না। ফলে দৃষ্টিশক্তিহীনরা কোনওভাবেই এগুলি ব্যবহার করতে পারেন না।
  • শারীরিক দক্ষতার পরীক্ষা: ভিডিয়ো কেওয়াইসির সময় ফোন স্থির ধরে রাখা বা ক্যামেরায় মুখ জায়গায় সেট করা অনেকের জন্য কঠিন। আর ভিবিন্ন মানুষের শারীরিক অক্ষমতার কারণে বারবার এই ধরনের কেওয়াইসির আবেদন বাতিল হচ্ছে।
  • সাহায্য না নেওয়ার নিয়ম: ভিডিয়ো কেওয়াইসির পরিবারের কারও সাহায্য নেওয়া যায় না। কিন্তু নির্দেশ বুঝতে না পারলে বা নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করতে সাহায্যের প্রয়োজন হলে তাঁরা কী করবেন?
  • বিকল্পের অভাব: ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আঙুলের ছাপ বা অন্য বিকল্প স্বাক্ষর প্রায়শই গ্রহণ করা হয় না। ফলে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হন।

কী বলছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক?

এই ধরনের সমস্যার কারণে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বা সেবির মতো রেগুলেটরি সংস্থাগুলো আরও নমনীয় হয়েছে। তারা ব্যাঙ্ক ও নন ব্যাঙ্কিং ফাইন্যান্সিয়াল সংস্থাগুলোকে অন্য ধরনের বিকল্প নিয়ে কাজ করার জন্য কিছুটা বাধ্য করেছে বলাই যায়। এর মধ্যে যেমন রয়েছে অন্য কারও সাহায্য ইয়ে ভিডিয়ো কেওয়াইসি বা আগের মতো ফর্ম ফিলআপ করে কেওয়াইসি।