Digital Monitoring: ল্যাপটপে নজরদারি, টেক সংস্থার কর্মীদের জন্য কি বাড়ছে বিপদ?

Laptop Surveillance: এবারে কর্মীদের মাইক্রো-লেভেল প্রোডাক্টিভিটি ট্র্যাকিং-এর পথে হাঁটতে শুরু করল বিশ্ব বিখ্যাত আইটি সংস্থা কগনিজ্যান্ট টেকনোলজি সলিউশনস। কর্মীদের কার্যকলাপের উপর গভীরভাবে নজরদারি করতে তারা চালু করেছে প্রো-হ্যান্সের মতো বিশেষ টুল।

Digital Monitoring: ল্যাপটপে নজরদারি, টেক সংস্থার কর্মীদের জন্য কি বাড়ছে বিপদ?
আপনার উপর নজর রাখছে সংস্থা?Image Credit source: sankai/E+/Getty Images

Nov 17, 2025 | 6:05 PM

ধরুন আপনি যে সংস্থায় চাকরি করেন, সেই সংস্থা আপনার ল্যাপটপের উপরই নজর রাখছে। কেমন লাগবে আপনার? মনে করুন কাজ করতে করতে কাজে মনোযোগ দিতে আপনি ল্যাপটপে কোনও গান চালালেন, তারপর হেডফোনটা গুঁজে নিলেন কানে। আর তারপরই আপনার কাছে মেল এল, আপনাকে জবাবদিহি করতে হবে আপনি কেন আপনার ল্যাপটপে গান চালিয়েছিলেন। কেমন লাগবে বলুন তো?

এতটা গভীর ভাবে না হলেও এবারে কর্মীদের মাইক্রো-লেভেল প্রোডাক্টিভিটি ট্র্যাকিং-এর পথে হাঁটতে শুরু করল বিশ্ব বিখ্যাত আইটি সংস্থা কগনিজ্যান্ট টেকনোলজি সলিউশনস। কর্মীদের কার্যকলাপের উপর গভীরভাবে নজরদারি করতে তারা চালু করেছে প্রো-হ্যান্সের মতো বিশেষ টুল।

সম্প্রতি, নির্বাচিত কিছু এক্সিকিউটিভকে এই টুলটির ব্যবহার নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়েছে। মাউস ও কিবোর্ডের ইনপুট ব্যবহার করে এটি কর্মীদের সিস্টেম অ্যাকটিভিটি পরিমাপ করবে। আইটি শিল্পে যা ‘মাইক্রো-মনিটরিং’ নামে পরিচিত।

কীভাবে কাজ করবে এই নজরদারি? অভ্যন্তরীণ নির্দেশিকা অনুসারে, ৫ মিনিট মাউস বা কিবোর্ড না নড়লে একজন কর্মীকে নিষ্ক্রিয় বলে চিহ্নিত করা হবে। যদি ১৫ মিনিট পর্যন্ত এই নিষ্ক্রিয়তা বজায় থাকে, তবে মনে করা হবে তিনি তাঁর সিস্টেম থেকে দূরে রয়েছেন। এই সময়সীমা অবশ্য প্রজেক্ট ভেদে সামান্য বদলাতে পারে। তবে উদ্দেশ্য স্পষ্ট: কাজের সময়কে মানসম্মত উপায়ে পরিমাপ করা।

সংস্থা জানাচ্ছে, এই ডেটা কোনও কর্মীর ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স মূল্যায়নে ব্যবহার হবে না। এর লক্ষ্য হল শুধুমাত্র ‘প্রোজেক্ট-লেভেল এফিসিয়েন্সি’ বাড়ানো এবং কাজ শেষ করার পথে কোনও বাধা থাকলে তা চিহ্নিত করা। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, এক দিকে কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির চাপ, অন্য দিকে ব্যক্তিগত নজরদারির ভয়— এই দুইয়ের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা কি আদৌ সম্ভব?

বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রো-হ্যান্সের মতো টুল ব্যবহার করে কগনিজ্যান্ট নাকি এক বছরে প্রায় ৮০ লক্ষ ডলার সাশ্রয় করেছে। ফলে এই ধরনের নজরদারি আগামী দিনে আইটি সেক্টরের নতুন মানদণ্ড হতে চলেছে। কর্মীর আস্থা বজায় রেখে কোম্পানি কীভাবে তাদের কাজের পরিধি আরও বাড়ায়, সেটাই এখন দেখার।