Digital Payment, UPI: আপনি কিউআর কোড স্ক্যান করে দোকানে দাম মেটাচ্ছেন, অর্থনৈতিক শ্রীবৃদ্ধি ঘটছে আপনার ভারতের!

UPI, QR Code Scan: মনে করুন, আপনি মেট্রো থেকে নেমে তাড়াহুড়ো করে কিছু কিনছেন, বা নিউ মার্কেটে কেনাকাটা করছেন। পিন মনে রাখার বা ভুল পিন দেওয়ার কোনও চিন্তাই থাকবে না। শুধুমাত্র একটি ছোঁয়ায় আপনার পেমেন্ট হয়ে যাবে। এতে লেনদেন আরও দ্রুত ও সুরক্ষিত হবে।

Digital Payment, UPI: আপনি কিউআর কোড স্ক্যান করে দোকানে দাম মেটাচ্ছেন, অর্থনৈতিক শ্রীবৃদ্ধি ঘটছে আপনার ভারতের!
Image Credit source: Getty Images

Oct 14, 2025 | 7:16 AM

কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে খবর, এবার Unified Payments Interface বা ইউপিআই পেমেন্টের জন্য বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা চালু করার পরিকল্পনা চলছে। আর সেই কাজের জন্য আপনার আধার কার্ডে থাকা বায়োমেট্রিক তথ্য ব্যবহার করা হবে। মুম্বইতে অনুষ্ঠিত হতে চলা ‘গ্লোবাল ফিনটেক ফেস্টিভ্যাল ২০২৫’-এ এই নতুন প্রযুক্তি সামনে আনা হতে পারে।

ব্যাপারটা ঠিক কী?

কোনও দোকানে বা কোথাও ইউপিআই পেমেন্ট করতে গেলে আপনাকে অ্যাপ খুলে ৪ বা ৬ সংখ্যার একটি পিন দিতে হয়। নতুন ব্যবস্থা চালু হলে, এই লেনদেন করা যাবে পিন ছাড়াই। আপনি শুধু আপনার আধার-লিঙ্ক করা আঙুলের ছাপ (fingerprint) বা চোখের মণি (iris scan) স্ক্যান করেই পেমেন্ট করতে পারবেন।

কেন এই পদক্ষেপ?

ডিজিটাল পেমেন্টের বিপ্লবকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতেই এই উদ্যোগ। ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া বা NPCI-এর তথ্য অনুযায়ী, শুধু গত আগস্ট মাসেই ইউপিআই লেনদেনের সংখ্যা ২ হাজার কোটি ছাড়িয়েছে। এই লেনদেনের মোট আর্থিক মূল্য ছিল প্রায় ২৪ লক্ষ ৮৫ হাজার কোটি টাকা। নতুন বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা এই সংখ্যাকে আরও বাড়িয়ে তুলবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বা RBI ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করেছে যে আগামীতে ইউপিআই লেনদেনে কোনও চার্জ বসানোর পরিকল্পনা নেই। ফলে, এই পরিষেবা আগের মতোই বিনামূল্যে পাওয়া যাবে।

আপনার জীবনে কী প্রভাব পড়বে?

মনে করুন, আপনি মেট্রো থেকে নেমে তাড়াহুড়ো করে কিছু কিনছেন, বা নিউ মার্কেটে কেনাকাটা করছেন। পিন মনে রাখার বা ভুল পিন দেওয়ার কোনও চিন্তাই থাকবে না। শুধুমাত্র একটি ছোঁয়ায় আপনার পেমেন্ট হয়ে যাবে। এতে লেনদেন আরও দ্রুত ও সুরক্ষিত হবে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এর ফলে ভারতের ডিজিটাল অর্থনীতি আরও মজবুত হবে। ইতিমধ্যেই দেশের জিডিপিতে ডিজিটাল অর্থনীতির অবদান ১১.৭৪ শতাংশ ছুঁয়েছে। PwC-এর একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতে ডিজিটাল পেমেন্টের পরিমাণ ৯০০ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে। ভারত যে ডিজিটাল পেমেন্টে বিশ্বের নেতা হতে চলেছে, এই পদক্ষেপ তারই প্রমাণ।