কলকাতা: সামনেই দীপাবলি। কয়েক দিন আগেই গিয়েছে দুর্গাপুজো, লক্ষ্মীপুজো। দীপাবলি উত্সবের গায়েই রয়েছে আবার ভাইফোঁটা। সব মিলিয়ে বিরাট খরচের ধাক্কা। যার ফলে, এই উৎসবের মরসুমেও অনেকরেই মনে আনন্দ নেই। বিশেষ করে এই মূল্যবৃদ্ধির বাজারে উৎসবের খরচ সামলাতে অনেকেই হিমশিম খাচ্ছেন। অথচ, দীপাবলি হল প্রতিটি বাড়ি ইতিবাচক শক্তিতে ভরিয়ে দেওয়ার সময়। সামান্য কিছু আচরণগত পরিবর্তন করলেই কিন্তু অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি করা যেতে পারে। আর্থিক চাপ আপনার উৎসবের আনন্দে বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।
দুর্গাপুজোর পর, দীপাবলি হল নিজের এবং প্রিয়জনদের জন্য সোনা থেকে শুরু করে নতুন জামাকাপড়, মিষ্টি এবং আরও বিভিন্ন উপহার কেনার সময়। আর তা করতে গিয়ে, সহজেই খরচ আপনার নাগালের বাইরে চলে যেতে পারে। তাই, উপহার কেনার পিছনে আপনি কত খরচ করবেন, আগে থেকে তার একটা বাজেট করাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উপহার কিনতে গিয়ে যাতে পরবর্তী সময়ে আর্থিক চাপে না পড়তে হয়, সেই ভাবে বাজেট করতে হবে। এতে আপনার খরচ একটা সীমার মধ্যে থাকবে। কোনও অতিরিক্ত খরচ হবে না।
দীপাবলিতে নতুন জামাকাপড় পরতে কে না পছন্দ করে? সকলেই চায়, সেরা পোশাক পরে উৎসবে যোগ দিতে। কিন্তু তা করতে গিয়ে অতিভোগবাদের খপ্পরে না পড়ে যাই, সেই দিকে নজর রাখা দরকার। দুর্গাপুজোর সময়ই নতুন জামাকাপড় কিনেছেন। দীপাবলিতে সেই জামাকাপড় আরেকবার পরলে কোনও ক্ষতিবৃদ্ধি হয় না। কাজেই সেই ধরণের টেকসই জামাকাপড়ই কিনুন।
দীপাবলির উত্সবের আনন্দে ভেসে গিয়ে আর্থিক সামর্থ্যের বাইরে গিয়ে কেনাকাটা করার প্রবণতা একেবারেই বিরল নয়। অনেকেই এই ফাঁদে পা দেয়। দীপাবলির সময় অনেক আর্থিক সংস্থা থেকে সহজে ঋণও দেওয়া হয়। আবার অনেক শপিং সেন্টারও পরে দাম চোকানোর সুবিধা দেয়। এর ফলে, প্রায়শই অনেকে ঋণের জালে জড়িয়ে পড়ে। সামনে কী বিপদ রয়েছে, তা না দেখেই ঋণ নিয়ে ফেলে। এই ধরণের ঋণে পণ্য কেনা এড়িয়ে চলতে হবে। এর সহজ উপায় হল, ব্যয়ের একটা বাজেট করা এবং সামর্থ্যের বাইরে গিয়ে কোনও পণ্য না কেনা।
দূর্গাপুজোর সময় থেকেই বিভিন্ন অনলাইন এবং অফলাইন বিপণীগুলি অনেক রকম ছাড় এবং অন্যান্য অফার দিয়ে থাকে। আগে থেকে পরিকল্পনা করা থাকলে, সেই সকল ছাড়ের সুবিধা নিয়ে সাশ্রয়ী মূল্য়ে জিনিসপত্র কেনাকাটা করা যায়। কাজেই, আগে থেকেই পরিকল্পনা করুন কী কী কিনবেন, কোথা থেকে কিনবেন। ছাড়ের সময়, সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী, পণ্যগুলি কিনে ফেলুন। অনেকটা খরচ বাঁচবে। এমনকি সোনার গয়না বিক্রেতারাও গ্রাহকদের জন্য বিভিন্ন সেভিং প্ল্যান দিয়ে থাকে।