
২১ অক্টোবর, কালীপুজোর পরের দিন গোটা দেশ জুড়ে পালিত হবে দিওয়ালি। আর সেই সিনে কেনাকাটা করা শুভ বলেই গণ্য হয়ে থাকে। কিন্তু সেই দিন তো ছুটির দিন, তাহলে দেশের অর্থনীতির কাণ্ডারি, শেয়ার বাজারেও তো কেনাকাটা হওয়ার কথা নয়! তাহলে? আসলে দিওয়ালির দিন কেনাকাটা করা বা বিনিয়োগ করা শুভ বলেই, এই দিন বিশেষ কয়েক ঘণ্টার একটা ট্রেডিং সেশন রাখা হয়। যাকে বলা হয় মুহরত ট্রেডিং। এই বছর অর্থাৎ, ২০২৫ সালের দিওয়ালিতে মানে ২১ অক্টোবর দুপুর ১টা বেজে ৪৫ মিনিটে খুলবে বাজার। যা চলবে ২টো বেজে ৪৫ মিনিট পর্যন্ত।
দিওয়ালি মানেই আলোর উৎসব, আর তার সঙ্গেই নতুন করে ধন-সম্পদের কামনা। সেই প্রথা মেনে, প্রতি বছর এই দিনেই বসে শেয়ার বাজারের বিশেষ ‘ ট্রেডিং’। এই বছর মুহরত ট্রেডিং হবে ২১ অক্টোবর, মঙ্গলবার। মাত্র এক ঘণ্টার এই ট্রেডিং কিন্তু শুধুই প্রথা, এমন নয়। এটি আসলে নতুন সংবত বর্ষের সূচনা।
সংস্কৃত শব্দ ‘মুহুরত’-এর অর্থ হল শুভ সময়। এই বিশেষ সময়ে করা টোকেন ইনভেস্টমেন্টকে নতুন বছরে সমৃদ্ধি ও সৌভাগ্যের প্রতীক বলে ধরা হয়। ১৯৫৭ সাল থেকে বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ বা BSE-তে এই ‘মুহুরত ট্রেডিং’ হয়ে আসছে। পরবর্তীতে ১৯৯২ সাল থেকে এই মুহুরত ট্রেডিং শুরু করে NSE বা ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, এটি মূলত ঐতিহ্যগত বিনিয়োগ। এখানে লাভ-ক্ষতির অঙ্ক কিন্তু বড় নয়। আসল লক্ষ্য হল দীর্ঘমেয়াদের নতুন যাত্রা শুরু করার আগে আশীর্বাদ নেওয়া। এই সময়ে বেশিরভাগ বিনিয়োগকারীই দীর্ঘমেয়াদি সমৃদ্ধির জন্যই ট্রেডিং করে থাকেন।
তাই যদি আপনি লক্ষ্মীলাভের চেষ্টায় কিছু শেয়ার কিনে রাখতে চান, এই এক ঘণ্টাই হল আপনার জন্য সেরা সময়। এই টোকেন বিনিয়োগ আগামী বছর আপনার পোর্টফোলিওকে সমৃদ্ধ করবে, এটাই বিশ্বাস।