
বর্তমানে অনেক মানুষই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন। আর তার মধ্যে অনেকেই হয়তো জানেন না ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের নিয়ম। ফলে সাধারণ ভাবে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের পর তাঁদের কাছে চলে আসে আয়কর বিভাগের নোটিস। কী কী কারণে আপনার কাছে নোটিস পাঠাতে পারে আয়কর দফতর?
যদি কোনও ক্রেডিট কার্ড হোল্ডারের ক্রেডিট কার্ডের খরচের সঙ্গে মাসিক আয় খাপ না খায়, তাহলে ওই ব্যক্তির নামে আয়কর দফতরের নোটিস আসতে পারে। ধরা যাক কারও বছরে উপার্জন ৬ লক্ষ টাকা। কিন্তু ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে খরচ হয়েছে ১০ লক্ষ টাকা। তাহলে ওই ব্যক্তির কাছে আসতেই পারে আয়কর নোটিস।
যদি কারও ক্রেডিট কার্ডের বিল ১ লক্ষ পেরিয়ে যায় বা ১০ লক্ষের বেশি দামের কিছু কেনা হয় ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে, তাহলে ব্যাঙ্ক তা আয়কর দফতরে জানায়। আর তারপরই নোটিস পাঠাতে পারে আয়কর দফতর। তবে, সেই ব্যয়ে অসঙ্গতি না থাকলে ও তা আয়কর দফতরে প্রমাণ করতে পারলেই আর কোনও সমস্যা থাকে না। ফলে এই ধরনের লেনদেন আইটি রিটার্ন ফাইল করার সময় জানাতে হয়। এ ছাড়াও বিদেশ ঘুরতে গিয়ে ক্রেডিট কার্ডের ২ লক্ষের বেশি খরচ করলে তা আয়কর দফতরে নজরে আসে।
এ ছাড়াও অনেকে আয়কর রিটার্ন ফাইল করার সময় ভুল করে বসেন। আর তাতেই সমস্যায় পড়েন তাঁরা। বা অনেকেই নিজের ব্যবসায়িক আয়ের সঙ্গে ব্যক্তিগত আয়কে গুলিয়ে ফেলেন। আর তাঁদের কাছে চলে আসে আয়কর নোটিস। ফলে, আগামীতে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে কিছু কেনার ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্ক থাকবেন। আর সতর্ক থাকলেই এই ধরনের একাধিক সমস্যা এড়াতে পারবেন।