
প্লেন বা ট্রেনে করে হঠাৎ যেতে হবে দিল্লি বা বেঙ্গালুরু। আর টিকিট কাটতে গিয়েই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল। গতকাল টিকিটের দাম যা ছিল, আজ এক লাফে বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু টিকিটের দামে এই রদবদল কেন? বিমান সংস্থাগুলো বা আইআরসিটিসি আসলে ডায়নামিক প্রাইসিং নামের এক জটিল প্রক্রিয়া ব্যবহার করে। এই প্রক্রিয়ায় অধীনে সংস্থাগুলো চায়, প্রতিটা বিমান বা প্রিমিয়াম ট্রেন থেকে সর্বাধিক লাভ করতে। আর এই কাজে আইআরসিটিসি বা বিমান সংস্থাগুলোকে সাহায্য করে রেভিনিউ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
আইআরসিটিসি বা বিমান সংস্থাগুলো যে অ্যালগরিদম মেনে চলে তা চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে একটা ভারসাম্য রাখে।
যাত্রার বাকি সময়: যাত্রার অনেক আগে টিকিট কাটলে টিকিটের দাম সাধারণত কম থাকে। আর যাত্রার দিন যত এগিয়ে আসে, দাম ততই বাড়ে।
দ্রুত বুকিং: প্রত্যাশার থেকে দ্রুত টিকিট যদি বিক্রি হয় তবে সিটগুলোর দাম এআই নিজেই বাড়য়ে দেয়।
প্রতিযোগীর নজর: একই গন্তব্যে যেতে অন্য সংস্থাগুলো টিকিটের দাম কেমন সে দিকে নজর রাখে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে বিমানের টিকিটের দাম সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত হয়।
সিট ইনভেন্টরি: প্রয়োজন অনুযায়ী সিটও বিভিন্ন দামে ভাগ করা থাকে। সিস্টেম ঠিক করে কোন দামে কতগুলো সিট বিক্রি করলে সর্বোচ্চ লাভ হবে।
মরসুম এবং বিশেষ দিন: উৎসবের মরসুম বা ছুটির সময় টিকিটের চাহিদা বাড়ে। আর চাহিদা বাড়লেই অর্থনীতির নিয়ম অনুযায়ী বেড়ে যায় টিকিটের দামও।
বিমান সংস্থা বা আইআরসিটিসি রিইনফোর্সমেন্ট লার্নিং মডেল ব্যবহার করে। সহজ কথায়, ট্রায়াল অ্যান্ড এরর মেথডের মাধ্যমে ক্রমাগত শিখে চলেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এআই চেষ্টা করে এই মুহূর্তে টিকিট বিক্রি করলে সবচেয়ে ভাল কত দাম মিলতে পারে, সেটা হিসাব করতে। অতএব, আপনি যখনই টিকিট কাটতে যাবেন, একটা জিনিস কিন্তু আপনাকে খেয়াল রকাহতে হবে। এআই কিন্তু ক্রমাগত অঙ্ক কষেই চলেছে। ফলে, সস্তায় টিকিট পেতে হলে আগে থাকতে সতর্ক হোন।