
বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে আমাদের দেশ ভারত। কিন্তু এত বড় অর্থনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল দেশের মানুষ। আর সেই মানুষের সবচেয়ে অনিশ্চয়তার জায়গা নিয়েই বাড়ছে চিন্তা। কারণ, যে কোনও ঝুঁকি বা অনিশ্চয়তার জায়গাকে নিশ্চিন্ত করতে প্রয়োজনীয় কাজ হল বিমা করা। আর এই বিমার জায়গাতেই পিছিয়ে পড়ছেন সাধারণ ভারতীয়রা।
সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে বিমা বলতে মেডিক্লেম বা স্বাস্থ্য বিমা বা টার্ম ইন্সিওরেন্স অত্যন্ত জরুরি। কারণ, সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে চিকিৎসার জন্য খরচও। ফলে, কোনও মানুষ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁর পিছনে অনেক টাকা খরচ হয়ে যেতে পারে। আর তা থেকে বাঁচার জন্যই বিমা করা জরুরি।
তবে, বিমা এত জরুরি হলে, সেই বিমার প্রতি মানুষের আগ্রহ বৃদ্ধির বদলে তা কমে যাচ্ছে কেন? এর সবচেয়ে বড় কারণ হল, সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিমার প্রিমিয়াম বৃদ্ধি। এ ছাড়াও বিমার প্রিমিয়ামের উপর রয়েছে ১৮ শতাংশ জিএসটি। এই জিএসটি নিয়ে বারবার আলোচনা হলেও তা ফলপ্রসু হচ্ছে না।
২০২২-২৩ অর্থবর্ষে বিমার প্রিমিয়াম জাতীয় আয়ের ৪ শতাংশ ছিল। যা সময়ের সঙ্গে বাড়ার বদলে, কমে গিয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে দাঁড়ায় ৩.৭ শতাংশ। অথচ গোটা বিশ্বের এই গড় ৭ শতাংশ।
দেশের সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা ও বিমার চিত্রের উপর নির্ভর করে একটা কথা বলাই যায়। দেশের প্রতিটা মানুষকে অপ্রয়োজনীয় খরচ কমিয়ে সঞ্চয় বাড়াতে হবে। সম্ভব হলে একাধিক আয়ের উৎস তৈরি করতে হবে। আগামীতে অর্থনৈতিক সঙ্কট আসবেই, এমনটা ধরে নিয়ে তার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে দেশের সাধারণ মানুষকে।