মুম্বই: নরিম্যান পয়েন্টের বিশাল এয়ার ইন্ডিয়া ভবন এবার কিনে নিচ্ছে মহারাষ্ট্র সরকার। বুধবারই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে মহারাষ্ট্রের ক্যাবিনেট। গতকাল মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়েছে। সেখানেই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আরব সাগরের পাড়ে সি-ফেসিং ২৩ তলা ওই আইকনিক বিল্ডিংটি কিনতে মহারাষ্ট্র সরকারের খরচ হচ্ছে ১ হাজার ৬০১ কোটি টাকা। কিন্তু কেন হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত নিল শিন্ডের সরকার? মুম্বই শহরের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী এই বিশাল ভবনটি কেন হঠাৎ কিনে নিচ্ছে মহারাষ্ট্র সরকার?
জানা যাচ্ছে, মহারাষ্ট্রের সরকারি অফিসাররা বসবেন এই সি-ফেসিং বিল্ডিংয়ে। মহারাষ্ট্রের সচিবালয়ে এবং তার অ্যানেক্স বিল্ডিং উভয় জায়গাতেই জায়গার অভাব হচ্ছে। সেক্ষেত্রে, মহারাষ্ট্র সরকারের বেশ কিছু দফতরের শীঘ্রই নতুন ঠিকানা হতে চলেছে সমুদ্রের ধারে এই আইকনিক ২৩ তলা বিল্ডিং। মহারাষ্ট্রের সচিবালয় থেকে মাত্র ৬০০ মিটার দূরে অবস্থিত।
মুম্বইয়ের ঐতিহ্যবাহী এই ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছিল ১৯৭৪ সালে। বিল্ডিংয়ের ডিজ়াইন এঁকেছিলেন বিখ্যাত স্থপতি জন বুর্গি। তবে এয়ার ইন্ডিয়ার মূল অফিস এখন আর এই বিল্ডিংয়ে নেই। সেটি অনেকদিন আগেই চলে গিয়েছিল দিল্লিতে। ২০১৮ সালে এই বিল্ডিংটি বিক্রি করে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। নিলামে উঠেছিল এয়ার ইন্ডিয়া বিল্ডিং। এয়ার ইন্ডিয়ার থেকে তখন দর ঠিক করা হয়েছিল ২ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু মহারাষ্ট্র সরকারের তরফে তখন ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা পর্যন্ত প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। এছাড়া জওহরলাল নেহরু পোর্ট অথরিটিও ১ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা পর্যন্ত প্রস্তাব দিয়েছিল। এলআইসির তরফে নিলামে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।
তবে ২০১৯ সালে মহারাষ্ট্রে নতুন সরকার গঠনের পর সেই প্রক্রিয়া থমকে ছিল। তবে একনাথ শিন্ডে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে আসার পর তিনি আবার এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করেন। সিদ্ধান্ত হয় ১ হাজার ৬০১ কোটি টাকায় মহারাষ্ট্র সরকার এই আইকনিক বিল্ডিংটি কিনে নেবে।